—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
খলিস্তানি গ্যাংস্টারদের খোঁজে মরিয়া হয়ে উঠেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। তারা ছয় রাজ্যের মোট ৫০টি এলাকায় হানা দিয়েছে। গ্যাংস্টারের ঘনিষ্ঠ সন্দেহে এক জনকে আটকও করা হয়েছে।
যে ৫০টি এলাকায় এনআইএ তল্লাশি চালিয়েছে, তার মধ্যে ৩০টি পঞ্জাবেই। এ ছাড়া, রাজস্থানের ১৩টি, হরিয়ানার চারটি, উত্তরাখণ্ডের দু’টি, দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশের একটি করে এলাকায় গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, পঞ্জাবের ফেরোজ়পুর থেকে খলিস্তানি গ্যাংস্টার তথা জঙ্গি অর্শ ডালার ঘনিষ্ঠ সন্দেহে এক জনকে আটক করা হয়েছে। চণ্ডীগড়ে নিয়ে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন এনআইএ-র তদন্তকারীরা। তাঁর পরিবারের অবশ্য দাবি, যুবক সাধারণ শ্রমিক, যাঁর মাসিক বেতন ১২ হাজার টাকা মাত্র।
খলিস্তানি গ্যাংস্টারদের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের খোঁজেই রাজ্যে রাজ্যে তল্লাশি অভিযান চালায় এনআইএ। এর আগে কেন্দ্রীয় সংস্থা ১৯ জন খলিস্তানি নেতার নামের তালিকা প্রকাশ করেছিল। তাঁরা প্রত্যেকেই ভারত থেকে পালিয়ে ব্রিটেন, আমেরিকা, কানাডা, দুবাই, পাকিস্তানের মতো কোনও না কোনও দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। ভারতে তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে।
গত জুন মাসে কানাডায় খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডের পর সে দেশের সরকার এর নেপথ্যে ভারতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সরাসরি অভিযোগ করেন, নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতীয় ‘এজেন্ট’রা যুক্ত। কানাডার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। কড়া সমালোচনাও করা হয়েছে। দিল্লির পাল্টা দাবি, ভারতে নিষিদ্ধ হওয়ার পর খলিস্তানি জঙ্গিরা কানাডায় আশ্রয় নিয়েছেন। এনআইএ ৪৯ জন খলিস্তানি নেতার তালিকাও প্রকাশ করেছিল, যাঁদের অধিকাংশই বর্তমানে কানাডার নাগরিক। খলিস্তানি নেতার হত্যাকে কেন্দ্র করে ভারত-কানাডা সম্পর্কের অবনতির মাঝেই খলিস্তানি সমস্যা নিয়ে নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে এনআইএ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy