নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
২০১৯-এর লোকসভা ভোট। গত তিন বছরে একাধিক ব্যর্থতার বোঝা ইতিমধ্যেই ঘাড়ে চেপেছে। এই অবস্থায় শেষ দু’বছরে পিটিয়ে রান তুলতে মরিয়া নরেন্দ্র মোদী চাইছেন, কাজ দিয়ে বাজিমাত করতে। সেই লক্ষ্য নিয়েই মন্ত্রিসভার রদবদল করছেন মোদী।
সরকারের শীর্ষ সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি ভবনে রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় অন্তত ন’জন নতুন মন্ত্রী শপথ নেবেন। সরকারি সূত্রের যুক্তি, প্রধানমন্ত্রীর ‘নতুন ভারত’-এর লক্ষ্যে নতুন টিম তৈরিতে ‘ফোর পি ফর পি’ সূত্র নেওয়া হয়েছে। যার অর্থ, ‘প্রগ্রেস’ (অগ্রগতি)-র জন্য প্যাশন (আবেগ), প্রফিসিয়েন্সি (দক্ষতা), প্রফেশনাল (পেশাদার) ও পলিটিকাল অ্যাকুমেন (রাজনৈতিক বোধ)-এর মাপকাঠিতে নতুন মন্ত্রীদের বাছা হয়েছে। এই ন’জনের মধ্যে দু’জন প্রাক্তন আমলা, একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার ও একজন প্রাক্তন কূটনীতিক। এঁরা হলেন কেন্দ্রের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রসচিব রাজ কুমার সিংহ, দিল্লিতে জবরদখল উচ্ছেদ করে ‘ডেমলিশন ম্যান’ বলে খ্যাত আলফোন্স কান্নানথানম, রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের প্রাক্তন স্থায়ী প্রতিনিধি হরদীপ সিংহ পুরী ও মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার সত্যপাল সিংহ।
আরও পড়ুন: কেউ ক্ষুব্ধ কেউ বা দুশ্চিন্তায়
সরকারি সূত্রে জানানো ন’জনের মধ্যে নীতীশ কুমারের জেডি(ইউ) বা অন্য শরিক দলের কোনও নেতার নাম নেই। শরিকদের মধ্যে নীতীশের সঙ্গেই দর কষাকষি চলছে। নীতীশ দু’জন ক্যাবিনেট ও একজন প্রতিমন্ত্রীর পদ দাবি করলেও বিজেপি একটির বেশি পদ ছাড়তে নারাজ। এই পরিস্থিতিতে নীতীশ শনিবার দাবি করেছেন, মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়ার আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ তিনি পাননি।
সূত্রের খবর, মোদী-অমিত শাহের প্রধান মাথাব্যথা ‘বিগ ফোর’— স্বরাষ্ট্র, অর্থ, প্রতিরক্ষা ও বিদেশ মন্ত্রক। অর্থ ও প্রতিরক্ষা, দু’টিই অরুণ জেটলির হাতে। প্রতিরক্ষায় কাকে বসানো হবে, তার জন্য বাকি তিনটি মন্ত্রকেও রদবদল হবে কি না, সেখানেই আটকে যাচ্ছেন মোদী-শাহ। সুষমা স্বরাজকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী করার জল্পনা রয়েছে। নিতিন গডকড়ীকে জাহাজ-সড়ক-পরিবহণের সঙ্গেই রেল দেওয়া হবে না কি ‘বিগ ফোর’-এ আনা হবে, তা নিয়েও জল্পনা তুঙ্গে।
বিজেপির একাংশ বলছে, চমক বাকি এখানেই। ‘বিগ-ফোর’ এবং রেল— এই পাঁচ মন্ত্রকের ভার ও শরিকি টানাপড়েনকে সামাল দিতে তড়িঘড়ি সূত্র মারফত ৯ জনের নাম ভাসিয়ে দেওয়া হল দলের তরফে। যাঁদের সকলেরই প্রতিমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা। এঁদের নিয়ে হইচইয়ের আড়ালে পাঁচ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর নাম চূড়ান্ত করতে রাত পর্যন্ত বৈঠক করছেন মোদী-অমিত। বিজেপির এক নেতার কথায়, ‘‘মোদীর আস্তিনে আসল তাসগুলোই লুকোনো আছে।’’
নতুন মন্ত্রীদের নাম চূড়ান্ত করতে শনিবার সকালেই বৃন্দাবনে আরএসএস-র সমন্বয় বৈঠক থেকে দিল্লি ফেরেন অমিত। সমন্বয় বৈঠকে সঙ্ঘের অন্তত চারটি সংগঠন সরকারের কাজ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছে। নতুন মন্ত্রীদের জায়গা করে দিতে ছ’জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। বিজেপি সূত্রে খবর, এক সপ্তাহের মধ্যেই অমিত বিজেপির সংগঠনেও রদবদল করবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy