—ফাইল চিত্র।
মাত্র ছ’মাসের মধ্যে সহারা সংস্থার কাছ থেকে ন’বার টাকা নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। বিস্ফোরক আক্রমণে কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গাঁধী। ২০১৩ সালে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নরেন্দ্র মোদীকে সহারা গোষ্ঠী টাকা দিয়েছিল বলে রাহুল এ দিন অভিযোগ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নিজের রাজ্য গুজরাতে এ দিন জনসভা ছিল রাহুলের। মেহসানার সেই জনসভায় দাঁড়িয়েই নরেন্দ্র মোদীকে এ দিন বিঁধেছেন তিনি। রাহুলের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে বিজেপি। কংগ্রেস সহ সভাপতিকে ‘চরম মিথ্যাবাদী’ আখ্যা দিয়েছে তারা।
আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের মুখোমুখি হচ্ছে গুজরাত। এক টানা দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকার জেরে ক্ষমতা-বিরোধিতার হাওয়া এবং পটেল বিক্ষোভ সহ নানা ইস্যুতে গুজরাতে বিজেপির অবস্থা আগের চেয়ে এখন নিঃসন্দেহেই খানিকটা নড়বড়ে। সে রাজ্যে তাই এখন থেকেই বিজেপি বিরোধী হাওয়া তুলতে চাইছে কংগ্রেস। সেই পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবেই মেহসানায় এ দিন রাহুল গাঁধীর সভা আয়োজিত হয়েছিল। কিন্তু মেহসানার ময়দান থেকে কংগ্রেস সহ সভাপতি বুধবার যে তোপ দেগেছেন, তার গর্জন শুধু গুজরাতে সীমাবদ্ধ থাকার মতো নয়। গোটা দেশেই শুরু হয়ে গিয়েছে তার প্রতিধ্বনি। সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকেই এ দিন নিশানা করেছেন রাহুল। তিনি বলেছেন, ‘‘মাত্র ছ’মাসের মধ্যে সহারা সংস্থা নরেন্দ্র মোদীকে ন’বার টাকা দিয়েছে।’’ ২০১৩ সাল থেকে অর্থাৎ লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগের বছর থেকে এই টাকা দেওয়া শুরু হয়েছিল বলে রাহুলের দাবি। আয়কর হানায় উঠে আসা তথ্য থেকে সহারা ও মোদীর মধ্যে এই লেনদেনের তথ্য সামনে এসেছে বলে রাহুল জানিয়েছেন।
শুধু সহারা গোষ্ঠী নয়, আদিত্য বিড়লা গোষ্ঠীর থেকেও নরেন্দ্র মোদী বিপুল অঙ্কের টাকা নিয়েছেন বলে কংগ্রেস সহ সভাপতির অভিযোগ।
রাহুল গাঁধী বলেছেন, ‘‘আড়াই বছর ধরে এই সব তথ্য আয়কর দফতরের হাতে রয়েছে, কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।’’ প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রাহুলে বার্তা, ‘‘আমরা এর নিরপেক্ষ তদন্ত চাই, ... আমরা চাই আপনি নিজেই দেশবাসীকে সত্যটা জানান।’’ সংসদে তাঁকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি বলে এ দিনও কংগ্রেস সহ সভাপতি অভিযোগ করেছেন।
আরও পড়ুন: ৫৬ ইঞ্চি ভুলে প্রধানমন্ত্রী মোদী এখন রক্ষণাত্মক
রাহুল গাঁধীর এই মন্তব্যের এ দিন তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি। দলের মুখপাত্র সম্বিৎ পাত্র বলেন, ‘‘রাহুল গাঁধী রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক থাকার জন্য অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তা বলতে শুরু করেছেন।’’ তিনি আরও বলেন, প্রশান্ত ভূষণ এই একই অভিযোগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছিল, এ সব অভিযোগের কোনও প্রমাণ নেই, তাই তদন্তের প্রয়োজন নেই। সুপ্রিম কোর্ট এই অভিযোগকে মান্যতা না দেওয়া সত্ত্বেও রাহুল গাঁধী আবার যে ভাবে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুৎসা করেছেন, তা আদালত অবমাননার সামিল বলেও বিজেপির দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy