কোন রাজ্য এগিয়ে, কোন রাজ্য পিছিয়ে— সামাজিক ক্ষেত্রে উন্নয়নের মাপকাঠিতে এ বার তার তালিকা তৈরি করবে নীতি আয়োগ।
এর আগে কোন রাজ্যে লগ্নি ও ব্যবসার পরিবেশ কতখানি ভাল, তা বিচার করে তালিকা তৈরি করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রক। রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ যাতে না ওঠে, তার জন্য বিশ্ব ব্যাঙ্ক ও বণিকসভা সিআইআই-কেও সেই কাজে যুক্ত করা হয়। এ বার সামাজিক ক্ষেত্রে উন্নয়নের তালিকা তৈরির কাজটি নীতি আয়োগই করবে। ১৫ অগস্ট থেকে কাজ শুরু হবে। তিন মাসের মধ্যে তা সেরে ফেলার লক্ষ্য নিচ্ছে নীতি আয়োগ। আয়োগের কর্তাদের ব্যাখ্যা, মোদী সরকার আর্থিক বৃদ্ধির হার বাড়ানোর পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়নের দিকেও জোর দিতে চাইছে। লগ্নির পরিবেশ তৈরির পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়নেও রাজ্যগুলি যাতে প্রতিযোগিতায় নামে, সেই উদ্দেশ্য নিয়েই তালিকা তৈরি হবে। যোজনা কমিশন ভেঙে নীতি আয়োগ তৈরির পরে এ বার পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাও তুলে দিচ্ছে মোদী সরকার। এখন দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা চলছে। চলতি অর্থবর্ষেই (২০১৬-’১৭)-তা শেষ হচ্ছে। নীতি আয়োগের পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী অর্থবর্ষ থেকে ১৫ বছরের ‘ভিশন ডকুমেন্ট’ অনুযায়ী কাজ হবে। তা রূপায়ণের জন্য সাত বছরের বিভিন্ন প্রকল্প ও রণকৌশল নেওয়া হবে। যার নাম হবে ‘ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাজেন্ডা’। রাজকোষের পরিস্থিতি বিচার করে এই সাত বছরের পরিকল্পনার মধ্যেও আবার তিন বছরের ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ তৈরি হবে। পরিকল্পনা খাতে ও পরিকল্পনা বহির্ভূত খাতে খরচের ভেদাভেদও তুলে দেওয়া হবে।
আজ সব রাজ্যের মুখ্যসচিব ও পরিকল্পনা দফতরের সচিবদের সম্মেলন ডেকে নীতি আয়োগের তরফে এই পরিকল্পনার কথা জানানো হয়। আগামিকাল প্রধানমন্ত্রী নিজেই এ বিষয়ে নীতি আয়োগের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সরকারি সূত্রের মতে, আগামী অর্থবর্ষের শুরু থেকেই ১৫ বছরের ‘ভিশন ডকুমেন্ট’ অনুযায়ী কাজ করতে হলে এখনই তা তৈরি করে ফেলতে হবে। ওই নথির কাজ কতটা এগিয়েছে, তা মোদীর সামনে তুলে ধরবেন আয়োগের ভাইস-চেয়ারম্যান অরবিন্দ পানাগাড়িয়া। তিনি বলেন, ‘‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর মত চাইব। নথির খসড়া তৈরি হয়ে গেলে তা চূড়ান্ত করতে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে তৈরি নীতি আয়োগের পরিচালন পর্ষদের বৈঠক ডাকা হবে।’’
আজ মুখ্যসচিবদের সঙ্গে বৈঠকের পরে পানাগাড়িয়া জানান, চলতি অর্থ বছরে বর্ষা ভাল হওয়ায় আর্থিক বৃদ্ধির হার ৮ শতাংশ ছাপিয়ে যেতে পারে। গত অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার ছিল ৭.৬ শতাংশ। বর্ষার ফলে কৃষিক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ভাল হওয়ায় আর্থিক বৃদ্ধির হার এক শতাংশ বাড়তে পারে বলে পানাগাড়িয়ার আশা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy