দিল্লিবাসী বিহারিদের যে নীতীশে ভরসা নেই তা স্পষ্ট হয়ে গেল। দিল্লি পুরসভার ৯০টি আসনে প্রার্থী দিয়ে জোর প্রচারও করেছিলেন জেডিইউ নেতা তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। অধিকাংশ আসনেই তাঁর প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
দিল্লির ভোটারদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বিহারি ভোটার। তাঁদের ভরসাতেই জেডিইউ পুর ভোটে প্রচারে নামে। প্রায় দু’দিন ধরে বিহারি অধ্যুষিত এলাকায় ঘুরে প্রচার সভা করেন নীতীশ। বড় মাপের রোড শো-ও করেন। উত্তর দিল্লির ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে নীতীশ সভা করেছিলেন। সেখানে জেডিইউ প্রার্থী মাত্র সাতটি ভোট পান। বাকি আসনগুলিতে গড় ভোটের পরিমাণ একশোর বেশি নয়।
দিল্লি পুরভোটে লড়তে নামার কারণ হিসেবে সাধারণ ভাবে জেডিইউয়ের ঘোষিত বক্তব্য ছিল, বিজেপিকে প্রতিরোধ। নীতীশ-বিরোধীদের বক্তব্য ছিল, ২০১৫-এর বিধানসভা ভোটে বিহারি ভোট কেজরীবালের সঙ্গেই ছিল। সেই ভোট যাতে এ বারে আপ না পায় তার জন্যই নীতীশকে ময়দানে নামিয়েছিলেন খোদ বিজেপি নেতৃত্ব। এ ক্ষেত্রে, সে দিক থেকেও কোনও লাভ হয়নি।
দলের এই ফলে নিরাশ জেডিইউ শিবির। কিছু বলতে চাননি নীতীশ। দলের দিল্লির ভারপ্রাপ্ত নেতা সঞ্জয় ঝা ‘বিকেলে কথা বলছি’ বলে ফোন বন্ধ করেন। রাজ্য বিজেপি নীতীশকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। সুশীল মোদী বলেন, ‘‘দিল্লির এক তৃতীয়াংশ বিহারি ভোটার নীতীশ কুমারকে বাতিল করেছেন।’’ কয়েকটি আসনে আরজেডিও প্রার্থী দিয়েছিল। তাদেরও জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। পরিস্থিতি দেখে আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ ফের বিরোধীদের এক হওয়ার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আলাদা-আলাদা লড়লে এমন ফলই হবে। এখন আমাদের জোটবদ্ধ হতে হবে।’’ একই সুর এখন জেডিইউ রাজ্য সভাপতি বশিষ্ঠ নারায়ণ সিংহের গলায়ও। তিনি বলেন, ‘‘দিল্লির ভোট থেকে শিক্ষা নিয়ে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে সকলকে এক হতেই হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy