তেজস্বী যাদব। পিটিআইয়ের ফাইল চিত্র।
কুর্সি হারানোর পর বিহারে নিজের রাজনৈতিক জমি শক্ত করতে জনপথে নামলেন লালুপ্রসাদ-তনয় তেজস্বী।
‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের দিন আজ চম্পারণ থেকে ‘জনাদেশ অপমান যাত্রা’ শুরু করলেন তিনি। তেজস্বী বললেন, ‘‘এই যাত্রায় নীতীশ কুমারেরও সামিল হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে উনি গাঁধীর হত্যাকারী গডসে্দের দলের হাত ধরেছেন। আমরা রয়েছি গাঁধীর মতাদর্শের সঙ্গেই।’’
প্রতিকূল পরিস্থিতি অনুকূল করে তোলার চেষ্টায় তৎপর লালুও। ২৮ অগস্ট মোদী-বিরোধী জনসভার আয়োজন করেছেন। সেখানে হাজির থাকবেন রাহুল গাঁধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্য বিরোধী দলের নেতারা। এ দিন ছেলে যখন পথে নেমেছেন, তখন পটনার ১০ সার্কুলার রোডের বাড়িতে স্ত্রী রাবড়ীদেবীকে নিয়ে অনেকটাই অসাড় হয়ে বসেছিলেন লালু। হাতেগোনা কয়েক জন নিরাপত্তারক্ষী, পরিচারক ছাড়া গোটা বাড়িতে কেউ নেই। খাঁ খাঁ করছে আউট হাউস। সেই শূন্যতার মধ্যেই টেলিভিশনে তেজস্বীর ভাষণ শুনে দু’জনই উজ্জীবিত হয়ে ওঠেন। আরজেডি সভাপতি বলেন, ‘‘আগামীর নেতা পেয়ে গিয়েছে সর্বহারা মানুষ।’’
আরও পড়ুন: অপহরণের ধারা জুড়ল, ধৃত বিকাশ
জেডিইউ-বিজেপি সরকারের বিধানসভায় আস্থাভোটের দিনই নিজেকে বক্তা হিসেবে প্রমাণ করেছেন তেজস্বী। তাঁর ৪৫ মিনিটের ভাষণের উত্তর দিতে হিমসিম হয়েছেন নীতীশ কুমার, সুশীল মোদী, নন্দকিশোর যাদবরা। রাজনৈতিক মহলে কানাঘুষো ছড়িয়েছিল, লালুর দলের ‘ব্যাটন’ ঠিক হাতেই গিয়েছে। শব্দের মারপ্যাঁচ ২৮ বছর বয়সেই রপ্ত করেছেন লালুর ছোটছেলে। সেই শব্দকে হাতিয়ার করেই এ দিন চম্পারণের রাস্তা থেকে জেডিইউ-বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করলেন তেজস্বী।
এ দিন মোতিহারির গাঁধী বাল উদ্যানে পৌঁছন তেজস্বী। ওই ময়দানেই নীলকর সাহেবদের বিরুদ্ধে চাষিদের নিয়ে সভা করেছিলেন মোহনদাস। গাঁধীমূর্তির সামনে ধর্নায় বসেন বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী। তার পরে জনসভায় ভাষণ দেন।
ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সভায় নীতীশের দিকে তোপ দেগে তেজস্বী বলেন, ‘‘এটা শুধু বিহারের জনাদেশের অপমান নয়, গাঁধীর আর্দশেরও অপমান।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy