কল ড্রপ মামলায় টেলিকম সংস্থাগুলির পক্ষেই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। মাঝ পথে কল কেটে গেলে গ্রাহকদেরকে টেলিকম সংস্থা ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকবে বলে যে নির্দেশ ট্রাই দিয়েছিল, তা বাতিল করে দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। টেলিকম সংস্থাকে দেওয়া লাইসেন্সে যে সব শর্ত রয়েছে, তার ভিত্তিতেই এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ অযৌক্তিক এবং অস্বচ্ছ, রায়ে জানাল সুপ্রিম কোর্ট।
কল ড্রপ গোটা দেশেই মোবাইল ব্যবহারকারীদের কাছে একটি বড় সমস্যা। ফোন কল মাঝপথে কেটে যাওয়ার কারণ নেটওয়ার্ক এবং পরিকাঠামোর দুর্বলতা, জানিয়েছিল ট্রাই। কেন্দ্রীয় সরকারও কল ড্রপ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে। তার পরই দেশের টেলিফোন পরিষেবা নিয়ন্ত্রক সংস্থা ট্রাই কল ড্রপ হল ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ জারি করে। প্রত্যেক গ্রাহকের ক্ষেত্রেই দিনের প্রথম তিনটে কলের জন্য এই ক্ষতিপূরণ ধার্য করা হয়েছিল। দিনের প্রথম তিনটি কলে যদি কোনও বিঘ্ন হয় অর্থাৎ মাঝপথে যদি কেটে যায়, তা হলে প্রত্যেকটি কলের জন্য গ্রাহককে ১ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলে ট্রাই নির্দেশিকা জারি করেছিল।
ট্রাই-এর এই নির্দেশ অবশ্য মানতে চায়নি টেলিকম সংস্থাগুলি। প্রথমে তারা দিল্লি হাইকোর্টে এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানায়। কিন্তু দিল্লি হাইকোর্ট ট্রাই-এর নির্দেশ খারিজ করেনি। তার পর টেলিকম সংস্থাগুলি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। সর্বোচ্চ আদালতে টেলিকম সংস্থাগুলির অভিযোগ ছিল, সস্তা জনপ্রিয়তার লক্ষ্যে টেলিকম সংস্থাগুলির কাছ থেকে মোবাইল ব্যবহারকারীদের ক্ষতিপূরণ পাইয়ে দিতে চাইছে ট্রাই। তবে ট্রাই-এর তরফে জানানো হয়, টেলিকম সংস্থাগুলি বিপুল মুনাফা যখন করছে, তখন পরিকাঠামো বাড়িয়ে উন্নত মানের পরিষেবা দেওয়াও তাদের কর্তব্য। এই যুক্তির প্রেক্ষিতে লাইসেন্সে উল্লিখিত শর্তের কথা সুপ্রিম কোর্টে তুলে ধরে ট্রাই। শর্ত অনুযায়ী, কল ড্রপের পরিমাণ যদি ২ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়, তা হলেই জরিমানা করা হবে। কিন্তু কোনও টেলিকম সংস্থার ক্ষেত্রেই কল ড্রপের পরিমাণ ২ শতাংশ ছোঁয়নি। তাই জরিমানা হওয়া উচিত নয় বলে টেলিকম সংস্থাগুলি আদালতকে জানায়। সুপ্রিম কোর্ট টেলিকম সংস্থাগুলির এই যুক্তি মেনে নিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy