Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪
National News

এই গ্রহে কারও উচিত নয় আমাদের রায়ে রাজনীতির রং চড়ানো, মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের

অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিবাদ-বিক্ষোভকে গুরুত্ব দেওয়াতেই তাঁকে কার্যত ভর্ৎসনা করে অরুণ মিশ্রের বেঞ্চ। বিষয়টি রেকর্ডে রেখেও বিচারপতি মিশ্র বলেন, ‘‘এই গ্রহের কারও উচিত নয় আমাদের রায়ে রাজনৈতিক রং চড়ানো। এটা হতেই পারে না।’’

আমাদের রায়ে রাজনীতির রং চড়ানো উচিত নয়, মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অরুণ মিশ্রের বেঞ্চের।

আমাদের রায়ে রাজনীতির রং চড়ানো উচিত নয়, মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অরুণ মিশ্রের বেঞ্চের।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০১৯ ১৬:১৬
Share: Save:

দখল করা জমির উপর গড়ে উঠিছিল মন্দির। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেই মন্দির ভেঙে দিয়েছে দিল্লি উন্নয়ন পর্ষদ। কিন্তু রায়ের পরই দিল্লি, হরিয়ানা, পঞ্জাবে প্রতিবাদ বিক্ষোভ উত্তাল হয়ে ওঠে।এরই পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের মন্তব্য, ‘‘আমাদের রায়ে কখনওই রাজনৈতিক রং লাগানো উচিত নয়।’’ পাশাপাশি নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশও দিয়েছে বিচারপতি অরুণ মিশ্রের বেঞ্চ।

বিতর্কের কেন্দ্রে দিল্লির তুঘলকাবাদে গুরু রবিদাস মন্দির। অভিযোগ, সরকারি জমি দখল করে ওইমন্দির গড়ে উঠেছিল। এই সংক্রান্ত একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট ওই মন্দিরটি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। রায় মেনে গত ১০ অগস্ট ওই মন্দির ভেঙে দেয় দিল্লি উন্নয়ন পর্ষদ (ডিডিএ)। কিন্তু তার পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ।

রায়ের সময়ই শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ছিল, রায় যথাযথ ভাবে সম্পাদন করা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে আদালতকে জানাবেন অ্যাটর্নি জেনারেল বেণুগোপাল। সেই সূত্রেই সোমবার বিচারপতি অরুণ মিশ্রের বেঞ্চে এই প্রতিবাদ-বিক্ষোভের বিষয়টি তুলে ধরেও কেকে বেণুগোপাল বলেন, ‘‘এখনও দিল্লি, হরিয়ানা, পঞ্জাবের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলছে।’’

অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিবাদ-বিক্ষোভকে গুরুত্ব দেওয়াতেই তাঁকে কার্যত ভর্ৎসনা করে অরুণ মিশ্রের বেঞ্চ। বিষয়টি রেকর্ডে রেখেও বিচারপতি মিশ্র বলেন, ‘‘এই গ্রহের কারও উচিত নয় আমাদের রায়ে রাজনৈতিক রং চড়ানো। এটা হতেই পারে না।’’

আরও পড়ুন: ছন্দে ফেরানোর চেষ্টা, উপত্যকায় খুলল সরকারি অফিস, স্কুল খুললেও হাজিরা নগণ্য

আরও পড়ুন: আফগান তাস খেলতে গিয়ে মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে তোপ দাগল গনি সরকার

গুরু রবিদাসের মন্দির ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ অবশ্য আগেই দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। সেই রায়ই বহাল রেখেছিল শীর্ষ আদালত। আর রায়ের পর পুলিশ-প্রশসানের সাহায্য নিয়ে মন্দির ভেঙে দেয় এবং মূর্তিটি নিয়ে যায় দিল্লি উন্নয়ন পর্ষদ। ডিডিএ-র তরফে অবশ্য ‘মন্দির’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি। কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই ওই বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Supreme Court Delhi Temple
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE