শিক্ষার অধিকার আইন মানা হচ্ছে না হাইলাকান্দিতে— এমনই অভিযোগ তুলল ‘আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা’ নামে একটি সংগঠন। এ বিষয়ে আজ জেলাশাসক মলয় বরার কাছে স্মারকপত্র দেওয়া হয়েছে।
সংগঠনটির অভিযোগ, শিক্ষার অধিকার আইনের ‘আড়ালে’ ব্যবসা চালানো হচ্ছে। শিক্ষা বিভাগে অনুপাতিকরণের নামে বাণিজ্য চলছে। জেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে অনেক শিক্ষককে শহরের স্কুলে নিয়ে আসা হচ্ছে। গ্রামের অনেক স্কুল কার্যত শিক্ষক-শূন্য হয়ে পড়ে থাকছে। সংগঠনটির নালিশ— শিক্ষক বদলির ‘ব্যবসায়’ শিক্ষা বিভাগের কর্তাদের একাংশ অনেক টাকা ঘুষ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে কয়েকটি উদাহরণও দেন সংগঠনের সদস্যরা। তাঁরা জানিয়েছেন, লালা শিক্ষাব্লকের ৩৭৬ নম্বর রামচণ্ডী কুকিপুঞ্জি প্রাথমিক স্কুলটি তিন মাস ধরে শিক্ষকশূন্য হয়ে রয়েছে। ৩৭৮ নম্বর নুমালখাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছবিটাও এক। ৫৮৭ নম্বর পিচাটিলা প্রাথমিক স্কুলে ছাত্রসংখ্যা ৮৭ হলেও, এক জন শিক্ষক রয়েছেন। ৩৭৭ নম্বর দুর্গাপুর প্রাথমিক স্কুলে ৯৭ জন ছাত্রের জন্য মাত্র এক জন শিক্ষক রয়েছেন। এর উল্টো পরিস্থিতির কথাও স্মারকলিপিতে তুলে ধরা হয়েছে। লালার বিষ্ণুপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রসংখ্যা ১২। শিক্ষক রয়েছেন ৫ জন।
সংগঠনটির সভাপতি জামাপাঊ কাবুই, সাধারণ সম্পাদক উদ্দীপন দাস জেলাশাসককে এই বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন। স্মারকপত্রের প্রতিলিপি শিক্ষামন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা, সর্বশিক্ষা অভিযান মিশনের রাজ্য সঞ্চালক, রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের সঞ্চালকের কাছেও পাঠানো হয়েছে।
হাইলাকান্দির প্রাথমিক শিক্ষাধিকারিক কৃষ্ণকান্ত বরুয়া জেলার বাইরে থাকায় এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy