কার্তি চিদম্বরম। ছবি: পিটিআই।
জামিনের দ্রুত শুনানির আবেদন খারিজ হল। নিরাপত্তার খাতিরে জেলে আলাদা সেলের আর্জিও মানলেন না বিচারক। ফলে আপাতত ১৩ দিন তিহাড় জেলে সাধারণ কয়েদির মতোই থাকতে হবে কার্তি চিদম্বরমকে। তবে দ্রুত জামিন পেতে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। আগামী কালই এ নিয়ে শুনানি রয়েছে।
পিটার ও ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের আইএনএক্স মিডিয়া সংস্থাকে বিদেশি লগ্নির ছাড়পত্র পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কার্তির বিরুদ্ধে। সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমের ছেলে কার্তিকে আজ আদালতে হাজির করা হয়। সিবিআই আদালতে তদন্তকারীরা জানান, তদন্তে কোনও সহযোগিতা করেননি কার্তি। তবে তাঁকে সিবিআই হেফাজতে রেখে জেরারও আর প্রয়োজন নেই। এর পরে চিদম্বরম-পুত্রকে ১৩ দিন জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক সুনীল রানা।
কার্তির আইনজীবী দয়ান কৃষ্ণন জানান, পি চিদম্বরম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। সেই সময়ে টাডা, ইউএপিএ-র মতো আইনে অনেক জঙ্গির বিচার হয়েছে। ২৬/১১-এর হামলার সময়েও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন তিনি। অভিযুক্ত জঙ্গিদের অনেকেই এখন রয়েছে তিহাড় জেলে। ফলে নিরাপত্তার খাতিরে কার্তিকে আলাদা বাথরুম-সহ সেল দেওয়ার আর্জি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিজেপিতে এসেই কু-কথা নরেশের
পাল্টা সওয়ালে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, সে ক্ষেত্রে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপরে হামলার আশঙ্কা থাকতে পারে। কিন্তু তাঁর ছেলের নিরাপত্তা নিয়ে কেন আশঙ্কা থাকবে তা বোঝা যাচ্ছে না। জবাবে কৃষ্ণন বলেন, সিবিআইয়ের এই বক্তব্যের জেরে হামলার সম্ভাবনা আরও বেড়ে গেল। বস্তুত, ২৬/১১-এর হামলার সময়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন শিবরাজ পাটিল। ওই ঘটনার জেরে তাঁকে সরিয়ে চিদম্বরমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। দু’পক্ষের সওয়াল শোনার পরে বিচারক সুনীল রানা জানান, অন্য অভিযুক্তদের চেয়ে কার্তিকে আলাদা কোনও সুবিধে দেওয়া যায় না। চশমা এবং ওষুধপত্র সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন চিদম্বরম-পুত্র। কিন্তু বাড়ির খাবার, বই, প্রসাধন সামগ্রী পাওয়ার আর্জি খারিজ করেছেন বিচারক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy