গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটক হত্যাকাণ্ডের সময় ভারত সফরে ছিলেন তিনি। কড়া ভাষায় নিন্দা করেছিলেন সন্ত্রাসবাদী হামলার। কিন্তু পাকিস্তানের সন্ত্রাসের ঠিকানায় ভারতীয় সেনার ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং তার জেরে তৈরি হওয়া সংঘাতের আবহে সাবধানি প্রতিক্রিয়া জানালেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স। বললেন, ‘‘সাধারণ ভাবে ভারত-পাক সংঘাত আমাদের নাক গলানোর বিষয় নয়। তাই আমরা যুদ্ধে জড়াতে বা ওই দুই দেশকে নিয়ন্ত্রণও করতে পারি না। বড়জোর উত্তেজনা প্রশমনের আবেদন জানাতে পারি।’’
তবে কোনও অবস্থাতেই যাতে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদের দ্বন্দ্ব পরমাণু সংঘাতের দিকে না যায়, সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহল সতর্ক বলে জানিয়েছেন ভান্স। তিনি বলেন, ‘‘ঈশ্বর করুন এমনটা যেন না হয়।’’ তবে এখনই ভারত-পাক পরমাণু সংঘাতের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। ঘটনাচক্রে, গত ৬ মে রাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাক পঞ্জাব প্রদেশের ন’টি জঙ্গিডেরায় ভারতীয় সেনার অপারেশন সিঁদুরের পর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের সংঘাত থামানোর জন্য মধ্যস্থতার বার্তা দিয়েছিলেন।
কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উল্টো সুর শোনা গেল তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্টের গলায়। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার আবহে ভান্স ওয়াশিংটনের ভূমিকা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, ‘‘আমেরিকা ভারতীয়দের তাদের অস্ত্র সংবরণের নির্দেশ দিতে পারে না। আমরা পাকিস্তানিদের তাদের অস্ত্র জমা দিতে বলতে পারি না। তাই আমরা কূটনৈতিক পথ অনুসরণ করব।’’ কূটনীতিকদের একাংশ মনে করছেন, গাজ়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর ক্ষেত্রে অতিসক্রিয়তায় কাজ না হওয়াতেই দক্ষিণ এশিয়ার ক্ষেত্রে ধীরে চলো নীতি নিতে চাইছে ওয়াশিংটন। ভান্সের কথায় সেই ইঙ্গিতই রয়েছে।