রাজা রঘুবংশী হত্যাকাণ্ডে রহস্যের পরত অনেকটাই উঠে গিয়েছে। তদন্তের অভিমুখ এখনও পর্যন্ত যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে প্রায় স্পষ্ট যে, রাজার স্ত্রী সোনমই স্বামীকে ভাড়াটে খুনি দিয়ে খুন করিয়েছিলেন। কিন্তু গোটা এই পর্বে সমাজমাধ্যমে মেঘালয় এং উত্তর-পূর্ব ভারতকে নিয়ে বহু মানুষ আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ। ওই সমস্ত মন্তব্যকে জাতিবিদ্বেষী মন্তব্য বলে দাবি করে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলেছে মেঘালয়ের একাধিক নাগরিক সংগঠন।
মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি এলাকার একটি খাদ থেকে রাজার দেহ উদ্ধার এবং সোনম ‘নিখোঁজ’ হয়ে যাওয়ার পর একাধিক জল্পনাকল্পনা শুরু হয়েছিল সমাজমাধ্যমে। সেখানে কেউ কেউ দাবি করেছিলেন, উত্তর-পূর্ব ভারতে সক্রিয় দস্যুরা এ ভাবেই মানুষ মেরে টাকাপয়সা লুট করে। কারও কারও বক্তব্য ছিল, উত্তর-পূর্ব ভারতের দলিতদের অপসারণ করা হোক। এমনকি সোনম গ্রেফতার হওয়ার পরেও তাঁর বাবা দেবী সিংহ মেঘালয় পুলিশকে দুষে সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছিলেন।
আরও পড়ুন:
আগেই মেঘালয় এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা। এনডিটিভি-কে তিনি বলেন, “আমাদের সরকার এবং রাজ্যের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হয়েছে। অভিযুক্তদের কেউই কিন্তু মেঘালয়ের বাসিন্দা নন।”
মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ের নাগরিক অধিকার সংগঠন ‘মেঘালয় সোশ্যাল অর্গানাইজেশন’ সোনমের পরিবারের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলেছে। সংগঠনটির চেয়ারম্যান রয় কুপার সিনরেম সোনমদের পরিবারের সমালোচনা করে জানান, তথ্য যাচাই না করেই পরিবারের সদস্যেরা মেঘালয়ের স্থানীয় জনগোষ্ঠী, সরকারকে আক্রমণ করেছেন। তাঁর কথায়, “শোকের পরিবেশ মানছি। কিন্তু তাঁরা শুধু ভুল খবর ছড়িয়েছেন। এখন সত্যিটা প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এ বার তাঁদের (সোনমের পরিবারের সদস্যদের) ক্ষমা চাইতে হবে। তাঁরা কেবল সরকার এবং পুলিশের সমালোচনাই করেননি, মেঘালয়ের প্রতিটি নাগরিকের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন।”