পুলিশ হেফাজতে ছোটা রাজন। ছবি: এপি।
দাউদের ভয়েই না কি আত্মসমর্পন করেছেন ছোটা রাজন। বছর কয়েক আগে ডি কোম্পানির গুলিতে কোনও মতে প্রাণে বাঁচা ‘নানা’ নাকি প্রাণভয়ে বারবার বদল করছিলেন ঠিকানা। ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন জায়গায়। ধরা পড়ার দু’দিন পরে কিন্তু দাউদ বা ডি কোম্পানির থেকে ভয়ের কথা একেবারেই উড়িয়ে দিলেন ছোটা রাজন। জানালেন, ভয় পান না কাউকেই।
গায়ে কমলা পোশাক, হাতে হাতকড়া। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে গ্রেফতারির পর এ দিন এই পোশাকেই দেখা গেল মোস্ট ওয়ান্টেড এই ডনকে। কিডনির সমস্যায় ভোগা রাজনকে এ দিনই ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিযেছে ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও। পুলিশের সামনেই এ দিন ছোটা রাজন বলেন, “কাউকেই ভয় করি না আমি।” কারও নাম না করলেও দাউদের দিকেই তাঁর ইঙ্গিত ছিল স্পষ্ট।
ইয়াকুব মেমনের ফাঁসির পরে দাউদের ঘনিষ্ঠতম সঙ্গী ছোটা শাকিল হুমকি দিয়েছিলেন, ছোটা রাজনকে কিছু দিনের মধ্যেই খুন করা হবে। ফলে বিপাকে পড়া ছোটা রাজন ইন্দোনেশিয়ায় ধরা দিয়ে ভারতের আশ্রয়ে নিজের জীবনটা নিরাপদ করলেন বলে মনে করছেন অনেকেই। ফলে মুখে যা-ই বলুন, ৫৫ বছর বয়সী সদাশিব নিকালজে ওরফে ছোটা রাজন এই অবস্থায় ভারতে ফিরতে বেশ ভয়েই পাচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy