নয়াদিল্লির একটি অনুষ্ঠানে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। ছবি: পিটিআই।
ইভিএম কারচুপির তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়ে লোকসভা নির্বাচনে এই যন্ত্রই ব্যবহারের কথা দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা।
শুক্রবার জাতীয় ভোটার দিবস। তার আগের দিন, বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, পুরনো পন্থায় ফিরে যাওয়ার আর কোনও সম্ভাবনা নেই। অর্থাৎ কোনওভাবে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ব্যালটকে ফিরিয়ে আনা হবে না। ইভিএমের উপরেই তাঁর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আমি আরও একবার স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই যে আমরা আর কখনও ব্যালটের যুগে ফিরব না। আমরা যে কোনও সমালোচনার জবাব দিতে প্রস্তুত। কিন্তু নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।’’
ইভিএম কারচুপি নিয়ে বিরোধীরা বহুদিন থেকেই সরব। আর নির্বাচন কমিশন সব সময়ই ইভিএমের পক্ষে সওয়াল করে আসছে। সম্প্রতি সইদ সুজা নামে এক সাইবার বিশেষজ্ঞ লন্ডনে দাবি করেন, ইভিএম কারচুপি সম্ভব। তারের সংযোগ ছাড়া ‘মডিউলেটর’-এর মাধ্যমে কম কম্পাঙ্কের (৭ হার্ৎজ়) তরঙ্গ পাঠালে ইভিএম সাড়া দেয়। শত্রুপক্ষের নজরদারি এড়িয়ে বার্তা বিনিময়ের জন্য সামরিক বাহিনীগুলি এমন কম কম্পাঙ্কের তরঙ্গ ব্যবহার করে থাকে। তিনি দাবি করেন, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এ ভাবেই গোপন প্রযুক্তির মাধ্যমে কারচুপি করা হয়েছিল। তা জানতে পেরে যাওয়াতেই খুন হতে হয় বিজেপি নেতা গোপীনাথ মুন্ডেকে। তিনি এত ভিতরের খবর জানলেন কী ভাবে?
আরও পড়ুন: অফিস থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতাকে গ্রেফতার করল সিবিআই
সুজার দাবি, যে বিশেষজ্ঞ দলটি ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে ভারতের নির্বাচন কমিশনকে ইভিএম সরবরাহ করেছিল, সৈয়দ সুজা সেই দলেরই অন্যতম সদস্য ছিলেন। প্রযুক্তির সাহায্যে কারচুপির পদ্ধতিও তিনি হাতেনাতে দেখান।
আরও পড়ুন: অন্ধ্রেও ‘একলা চলো’, লোকসভা-বিধানসভায় সব আসনে প্রার্থী দেবে কংগ্রেস
লন্ডনে সুজার ওই সাংবাদিক সম্মেলনের পর ইভিএম বিরোধিতা আরও তীব্র হয়। গণতন্ত্র রক্ষা করতে ইভিএমের পরিবর্তে ব্যালট পেপার ফিরিয়ে আনার দাবি উঠতে শুরু করে। কিন্তু সেই দাবি যে মানা হবে না এ দিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার তা স্পষ্ট করে দিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy