নাগরিকদের মতো গরুকেও পরিচয়পত্র দিতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। যাতে তাদের উপর নজরদারি চালিয়ে পাচার আটকানো যায়। গরু রক্ষার নামে দেশজুড়ে গোরক্ষকদের তাণ্ডবের মধ্যেই সোমবার শীর্ষ আদালতে এই প্রস্তাব পেশ করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
গরু রক্ষায় প্রথম থেকেই তৎপর মোদী সরকার। এ দিন সুপ্রিম কোর্টে একটি রিপোর্ট পেশ করে কেন্দ্র জানিয়েছে, গরুর জন্যও আধারের মতো ১২ সংখ্যার একটি বিশেষ শনাক্তকরণ নম্বর (ইউআইডি) চালু করতে চায় তারা। রিপোর্টে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গরু পাচারের বিষয়টিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। গরু পাচারে লাগাম টানার জন্য দেশের প্রতিটি জেলায় ৫০০ আশ্রয়হীন গরু থাকতে পারে, এমন গোশালা বানানোরও প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্র।
শুধু গরুর শনাক্তকরণ বা নজরদারি নয়, সঙ্কটে পড়া কৃষকদের সুরাহার কথাও ভাবা হয়েছে এই প্রকল্পে। সেই কারণে রিপোর্টে দুধ দেওয়ার বয়স পেরিয়ে যাওয়া গরুদের বিশেষ যত্ন নেওয়ার জন্যও সুপারিশ করেছে কেন্দ্র। এই প্রকল্পের ফলে গরুর বংশবৃদ্ধি এবং দুধের উৎপাদন বাড়বে বলেও দাবি করেছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: অটলের পথে ফিরুন, মোদীকে বার্তা মুফতির
১২ সংখ্যার ওই হলুদ ট্যাগটি লাগানো থাকবে গরু-সহ গবাদি পশুর কানে। এর ফলে পশুগুলির কানের কোনও ক্ষতি হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্র। পলিইউরেথিনে তৈরি হওয়ায় ট্যাগগুলি সহজে নষ্ট হবে না। গরুর কান থেকে সেগুলি খুলে ফেলাও বেশ কঠিন। এক-একটি ট্যাগের দাম ৮ টাকা করে। ওজন ৮ গ্রাম। সব মিলিয়ে প্রকল্পে খরচ পড়বে ১৪৮ কোটি টাকা। সরকারি হিসেব অনুযায়ী দেশে গরু রয়েছে ৮ কোটি ৮০ লক্ষ। তাদের কানে এই ট্যাগ লাগানোর জন্য এক লাখ প্রযুক্তিবিদকে ৫০ হাজার ট্যাবলেট দিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হয়েছে।
চলতি বছরের মধ্যেই দেশের সমস্ত গরুর কানে এই বিশেষ শনাক্তকরণ নম্বর ঝুলিয়ে দিতে চায় কেন্দ্র। এই নম্বরগুলি তোলা থাকবে অনলাইন ডেটাবেসে। প্রযুক্তিবিদরা ওই অনলাইন ডেটাবেস আপ়ডেট করবেন। প্রত্যেক মালিককে গরু প্রতি একটি করে ‘অ্যানিম্যাল হেলথ কার্ড’ দেওয়া
হবে। এই কার্ডে মালিকের পরিচয়, পোষ্যকে টিকা বা ওষুধ দেওয়ার সময়, প্রজননের বিবরণ ইত্যাদি তথ্য থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy