Advertisement
০১ মে ২০২৪
Joshimath Disaster

বিদ্যুৎ প্রকল্পের কারণে নড়েছে জোশীমঠের ভিত! বাসিন্দাদের অভিযোগ মানছে না এনটিপিসি

জোশীমঠের বাসিন্দাদের অভিযোগ, জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে একাধিক নিয়মভঙ্গের জন্যই ক্রমশ ফাঁপা হয়েছে হিমালয়ের কোলে থাকা এই ছোট জনপদটির মাটির তলা। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ এনটিপিসি।

এক নজরে জোশীমঠ এবং পার্শ্ববর্তী এলাকা।

এক নজরে জোশীমঠ এবং পার্শ্ববর্তী এলাকা। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

সংবাদ সংস্থা
দেহরাদূন শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:১৭
Share: Save:

জোশীমঠের ভূ-বিপর্যয়ের জন্য এনটিপিসির তপোবন বিষ্ণুগাড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পকেই দুষছেন সেখানকার বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, এই প্রকল্পে একাধিক নিয়মভঙ্গের জন্যই ক্রমশ ফাঁপা হয়ে গিয়েছে হিমালয়ের কোলে থাকা এই ছোট জনপদটির মাটির তলা। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এনটিপিসি। তাঁদের দাবি, নিয়ম মেনেই সব কাজ হয়েছে।

সংবাদ সংস্থা ‘দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, তপোবন বিষ্ণুগাড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে বার বার নিয়মভঙ্গ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জোশীমঠের অদূরে প্রবল বেগে বয়ে চলা ধৌলিগঙ্গার জলকে টারবাইনে ফেলে ঘোরানোর জন্য জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি খনন করা হয়েছে ১২.১ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ। এই সুড়ঙ্গ খনন করার জন্য আনা হয়েছে টানেল বোরিং মেশিন। প্রসঙ্গত, কলকাতা মেট্রোর ভূগর্ভস্থ পথ খননের জন্য এই টানেল বোরিং মেশিন বা টিবিএমের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। যোশীমঠের অদূরেই সুড়ঙ্গে খননকার্য শুরু হওয়ার পর বার বার ছোটখাটো বিপর্যয় হয়েছে। একটি পাহাড়ের ভিতর টিবিএমকে ঢোকাতে গিয়ে ভূগর্ভস্থ জলাধার ফেটে যায়। এই ঘটনায় সুড়ঙ্গের ভিতরে থাকা একাধিক শ্রমিক মারা যান।

সব চেয়ে বড় ক্ষতি হয় ভূমির ভারসাম্যে। কুমায়ুন এবং গাড়ওয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ববিদ্যার অধ্যাপকদের মতে, মাটির তলা থেকে জল বেরিয়ে যাওয়ায়, মাটির তলদেশ ফাঁপা হয়ে গিয়েছিল। তারই পরিণতিতে আজকের এই ধস এবং ফাটলের ঘটনা বলে মনে করছেন তাঁরা। বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ওই ঘটনার পর জোশীমঠের জলস্তর নীচে নেমে যায়। শহরবাসী তীব্র জলকষ্টের সম্মুখীন হন। তাঁদের অভিযোগ, জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে কৃত্রিম বিস্ফোরণ ঘটানোর ফলে মাঝেমধ্যেই কেঁপে উঠত জোশীমঠ। এ নিয়ে তাঁরা ডিসেম্বর মাসে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী এবং জেলাশাসককে চিঠি লিখলেও কোনও উত্তর মেলেনি বলে দাবি তাঁদের। ‘জোশীমঠ বাঁচাও সংঘর্ষ সমিতি’র প্রধান অতুল সতী ‘দি হিন্দু’কে জানি‌য়েছেন, এনটিপিসির প্রকল্প যে তাঁদের ঘরছাড়া করবে, তা তাঁরা আগেই বুঝেছিলেন। কিন্তু, তাঁদের অভিযোগ সরকার গুরুত্ব দিয়ে দেখেনি বলে দাবি তাঁর।

জোশীমঠকে শনিবারই ‘বিপর্যয়গ্রস্ত এবং বসবাসের অনুপযোগী’ বলে ঘোষণা করেছিল উত্তরাখণ্ড প্রশাসন। আরও বাষট্টি পরিবারকে শনিবার ওই জায়গা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, আরও কিছু বাড়িতে নতুন করে ফাটল দেখা যাচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE