পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে মোটেই ভাবনাচিন্তা করছে না পাকিস্তান। এ রকম কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁদের। ভারতের সঙ্গে সংঘাতের আবহে এ কথা জানিয়ে দিলেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ।
শনিবার সকালে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম দাবি করেছিল, পাকিস্তানে ‘ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটি’ (এনসিএ)-র বৈঠক বসতে চলেছে। বস্তুত, পাকিস্তানের সামরিক এবং অসামরিক শীর্ষকর্তাদের নিয়ে গঠিত এই কমিটির হাতেই রয়েছে সে দেশের পরমাণু অস্ত্র এবং দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার। কিন্তু পরে সংবাদ সংস্থা ‘রয়টার্স’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী এক পাক সংবাদমাধ্যমকে খোয়াজা জানিয়ে দেন, ‘ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটি’র কোনও বৈঠক হয়নি। এ রকম কোনও বৈঠক হওয়ারও কথা নেই। সেই সূত্রেই পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহারের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন।
তবে একটি ‘কিন্তু’ও যোগ করেছেন আসিফ। তিনি বলেছেন, ‘‘কিন্তু যদিও এ রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়, তা হলে দর্শকেরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’’ অর্থাৎ, প্রকারান্তরে গোটা বিশ্বকেই পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বার্তা দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। খোয়াজা বলেন, ‘‘ভারত কী পরিস্থিতি তৈরি করে, তার উপর ভিত্তি করে আমরা যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেব।’’
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের এনসিএ-র নেতৃত্বে রয়েছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ। তিনিই এই বৈঠক ডেকেছেন বলে প্রাথমিক ভাবে পাক সেনা সূত্রে জানা গিয়েছিল। কিন্তু পরে সেই দাবি নস্যাৎ করেছেন খোয়াজা। পাকিস্তানের এনসিএ-তে শাহবাজ় ছাড়া রয়েছেন তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টা, মন্ত্রিসভার পাঁচ গুরুত্বপূর্ণ সদস্য (অর্থ, বিদেশ, প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র এবং শিল্প ও প্রতিরক্ষা উৎপাদন), সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার (স্থল, নৌ ও বায়ুসেনা) প্রধান। এ ছাড়া রয়েছেন পাক সশস্ত্র বাহিনীর ‘জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফস কমিটি’র চেয়ারম্যান, ‘স্ট্র্যাটেজ়িক প্ল্যানস ডিভিশন’ (কৌশলগত পরমাণু সংক্রান্ত গবেষণা এবং পরমাণু অস্ত্র রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত)-এর প্রধান এবং পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর ডিরেক্টর।