Advertisement
E-Paper

চার বছর পর ঘরে ফিরে কেঁদে ফেললেন নূপুর

পরিজনদের তলোয়ার দম্পতি বলেছেন, মেয়েকে হারানোর ঘা কোনও দিন শুকোবে না।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৭ ০২:৪০
ছবি: পিটিআই।

ছবি: পিটিআই।

মেয়েকে খুনের দায়ে চার বছর কারাবন্দি থাকার পর, সোমবার সন্ধ্যায় ঘরে ফিরলেন নূপুর ও রাজেশ তলোয়ার। তবে, ২০০৮-এ দিল্লির জলবায়ু বিহারে তলোয়ারদের যে ফ্ল্যাটে তাঁদের মেয়ে আরুষির গলা কাটা দেহ মিলেছিল, সেখানে ফেরেননি দন্তচিকিৎসক-দম্পতি। অভিশপ্ত ফ্ল্যাটটি এই মুহূর্তে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। তলোয়াররা জলবায়ু বিহার অ্যাপার্টমেন্টেই নূপুরের বাবা-মার ফ্ল্যাটে ঢুকলেন। অ্যাপার্টমেন্টের সামনে সকাল থেকেই ছিল সংবাদমাধ্যমের থিকথিকে ভিড়। দৃশ্যতই বিধ্বস্ত ছিলেন নূপুর তলোয়ার। বাড়িতে পা দিয়েই কান্নায় ভেঙে পড়েন আরুষির মা।

পরিজনদের তলোয়ার দম্পতি বলেছেন, মেয়েকে হারানোর ঘা কোনও দিন শুকোবে না। ২০১৩-য় আরুষি-হেমরাজ জোড়া খুনে দোষী সাব্যস্ত হয়ে গাজিয়াবাদের দাসনা জেল খাটছিলেন আরুষির বাবা-মা। কিন্তু ইলাহাবাদ উচ্চ আদালত বেকসুর খালাস করেছে তাঁদের।

দম্পতির অনুরোধে, এ দিন পুলিশি প্রহরায় তাঁদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে রাজেশের ভাই দীনেশ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার অভিঘাত থেকে এখনও বেরোতে পারেননি রাজেশ ও নূপুর। আরুষিকে হারানোর শোক ঠিক ভাবে বুঝে ওঠার আগেই তাঁদের ওপর আছড়ে পড়েছিল মেয়েকে মারার অভিযোগ। সত্যের সঙ্গে লড়তে গিয়ে আরুষির জন্য সন্তাপকেও পাশে সরিয়ে রাখতে হয়েছিল তাঁদের। এত দিনে আবার জেগে উঠেছে সেই যন্ত্রণা। মেয়েকে মারার কলঙ্ক মাথা থেকে মোছার পর সন্তান হারানোর হাহাকার নতুন করে বুকে বিঁধেছে তাঁদের। তাঁরা যে বাড়ি ফিরে এসেছেন, সেটাই এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না তাঁরা। এই মুহূর্তে বুম ক্যামেরা মাইকের মুখোমুখি হওয়ার মানসিক অবস্থাই নেই তাঁদের।

দীনেশের দাবি, যে দিন রাজেশ দোষী সাব্যস্ত হন, সে দিনই তিনি ভাইকে বলেছিলেন, শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়বেন। কারণ, গোটা ঘটনায় আরুষির সম্মান নষ্ট হচ্ছে। জেল থেকে বেরিয়ে আসা রাজেশের মূল লক্ষ্য ছিল না। যে ভাবেই হোক তাঁর মৃতা মেয়ের নামে লাগা দাগ মুছে ফেলতে চেয়েছিলেন। আরুষির সুবিচারের জন্য, তাকে অসম্মান থেকে মুক্ত করার যুদ্ধই তাঁদের লক্ষ্য। দীনেশের কথায়, ‘‘আজ এটুকুই বলব, আরুষি ভাল মেয়ে ছিল। হেমরাজও লোক খারাপ ছিল না।’’

Nupur Talwar নূপুর তলোয়ার
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy