৩১ মে ছিল তাঁর চাকরিজীবনের শেষ দিন। ঘটনাচক্রে, ওই দিনই তাঁর বাড়িতে ভিজিল্যান্স হানা দেয়। তদন্তকারীদের হাত থেকে বাঁচতে ফ্ল্যাট থেকে একের পর এক টাকার বান্ডিল ফেলতে থাকেন পড়শির বাড়িতে। সেই দৃশ্য দেখেছিল গোটা ওড়িশা। শনিবার ওড়িশার সেই সরকারি ইঞ্জিনিয়ার বৈকুণ্ঠনাথ ষড়ঙ্গীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ভিজিল্যান্স সূত্রে খবর, ইঞ্জিনিয়ারের চারটি বাড়ি এবং ফ্ল্যাট-সহ মোট সাতটি ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিস মিলেছে। যা তাঁর আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। এক তদন্তকারী জানিয়েছেন, ইঞ্জিনিয়ারের সাত ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়ে ১৫ কোটি সম্পত্তির হদিস মিলেছে। যা তাঁর আয়ের তুলনায় ৪৮৩ শতাংশ বেশি। এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিস মেলায় হতবাক ইঞ্জিনিয়ারের প্রতিবেশীরাও।
শনিবারই ইঞ্জিনিয়ারকে আদালতে পেশ করা হয়। তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দুর্নীতিদমন অভিযানে নেমে বেশ কয়েক জন সরকারি আধিকারিকের নাম উঠে আসে। সেই তালিকায় ষড়ঙ্গীও ছিলেন। তদন্তকারী ওই আধিকারিকের কথায়, ‘‘ইঞ্জিনিয়ারের যে পরিমাণ সম্পত্তির হদিস মিলেছে, তা তাঁর আয়ের থেকে ৪৮৩ শতাংশ বেশি।’’ ইঞ্জিনিয়ারের বিরিদ্ধে ২০১৮-র দুর্নীতিবিরোধী আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, অঙ্গুলের কারাদাগাড়িয়ায় একটি বিলাসবহুল দোতলা বাড়ি রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারের। ওই জেলারই মাতিয়া সাহিতে আরও একটি দোতলা বাড়ি রয়েছে বৈকুণ্ঠনাথের। এ ছাড়াও ভুবনেশ্বরের দুমদুমায় ১৫৩০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট, পুরীর পিপিলিতে ১১০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। আরও একটি বাড়ির হদিস মিলেছে বলে সূত্রের খবর। এ ছাড়াও সাতটি জমি রয়েছে ভুবনেশ্বরের শহরতলি এবং অঙ্গুলে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই দু’জায়গা ছাড়াও আরও কয়েকটি জায়গায় ইঞ্জিনিয়ারের স্থাবর সম্পত্তির হদিস মেলার সম্ভাবনা রয়েছে। শেয়ার বাজারেও আড়াই কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করেছেন।