নিয়ম না-মেনেই তৈরি হচ্ছে পাঁচিল। দুর্নীতি করছে ঠিকাদার সংস্থা! এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন সাংবাদিক। কিন্তু সেই খবর করার আগে নিজেই সংবাদ শিরোনামে চলে এলেন সেই সাংবাদিক। কারণ, স্থানীয় কয়েক জন তাঁকে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করেন। ওড়িশার বোলাঙ্গিরের এই ঘটনায় এক নাবালক-সহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সাংবাদিকের নাম বিজয় প্রধান। শনিবার তিনি পাঁচিল তৈরিতে দুর্নীতির খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গ্রামবাসীদের কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। ছবিও তুলছিলেন। হঠাৎ করেই কয়েক জন তাঁকে বাধা দেন। কেড়ে নেওয়া হয় বিজয়ের মোবাইল ফোন, মাইক্রোফোন এবং আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র। মারধরের একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
গাছে বেঁধে চলে মারধর। অভিযোগ, ওই সাংবাদিককে লাথি, কিল, চড় মারা হয়। পরে অচেতন অবস্থায় ওই সাংবাদিককে উদ্ধার করা হয়। এই প্রসঙ্গে ওড়িশা পুলিশের আধিকারিক অভিলাষ জি জানান, মারধরের ঘটনার নেপথ্যে ঠিকাদার রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ মনে করছে, তিনিই স্থানীয়দের কয়েক জনকে মারধরে প্ররোচিত করেন। তবে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।