Advertisement
E-Paper

গোখরোর ছোবলে স্ত্রী এবং কন্যার মৃত্যু, এক মাস বাদে খুনের কথা স্বীকার করলেন স্বামী!

পুলিশ জানিয়েছে, গত ৬ অক্টোবর এক সাপুড়ের কাছে গিয়েছিলেন গণেশ। তাঁকে একটি গোখরো দিতে বলেন। সাপুড়েকে গণেশ জানান, বাড়িতে পুজো রয়েছে। তাই সাপের প্রয়োজন।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৩ ১২:২৭
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

স্ত্রীর সঙ্গে মাঝেমধ্যেই অশান্তি হত। সেই অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে স্ত্রীকে খুন করার ষড়যন্ত্র করেছিলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু এমন ভাবে পরিকল্পনা করেছিলেন যে, সেটি খুন মনে না হয়ে যেন স্বাভাবিক মৃত্যু মনে হয়। আর তার জন্য বেছে নিয়েছিলেন একটি গোখরোকে। স্ত্রী-কন্যা যে ঘরে ঘুমোন, সেই ঘরে গোপনে ওই গোখরো ছেড়ে দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। রাতে ঘুমিয়ে থাকার সময় সেই সাপের ছোবলে মৃত্যু হয় মহিলা এবং তাঁর কন্যার। ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার গঞ্জাম জেলায়।

বদলা নিতে স্ত্রী-কন্যাকে গোখরোর ছোবল খাইয়ে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম কে গণেশ পাত্র। স্ত্রীর নাম কে বাসন্তী পাত্র। ২০২০ সালে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। পাত্র দম্পতির দু’বছরের এক কন্যা রয়েছে। গঞ্জামের আধেগাঁও গ্রামের বাসিন্দা গণেশ। গত ৭ অক্টোবর ঘর থেকে তাঁর স্ত্রী বাসন্তী এবং কন্যা দেবস্মিতার দেহ উদ্ধার হয়। ঘর থেকে গোখরো সাপটিও উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনার পর শ্বশুরবাড়ি এবং গ্রামবাসীদের কাছে গণেশ দাবি করেন যে, গোখরোর ছোবলেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর স্ত্রী এবং সন্তানের। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের হয়।

কিন্তু কন্যা এবং নাতনির মৃত্যুতে সন্দেহ প্রকাশ করেন বাসন্তীর বাপের বাড়ির লোকজন। বাসন্তীর বাবা জামাইয়ের বিরুদ্ধে কন্যা এবং নাতনিকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তত দিনে ঘটনার এক মাস কেটে গিয়েছিল। বাসন্তীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। গঞ্জামের পুলিশ সুপার জগমোহন মীণা জানিয়েছেন, গণেশকে আটক করে জেরা শুরু হয়। বার বারই তিনি দাবি করেছিলেন, সাপের ছোবলে মৃত্যু হয়েছে স্ত্রী-সন্তানের। এই ঘটনায় তাঁর কোনও হাত নেই। কিন্তু বার বার জেরার মুখে পড়ে শেষমেশ নিজের পরিকল্পনার কথা পুলিশকে জানান গণেশ।

পুলিশ জানিয়েছ, গত ৬ অক্টোবর এক সাপুড়ের কাছে গিয়েছিলেন গণেশ। তাঁকে একটি গোখরো দিতে বলেন। সাপুড়েকে গণেশ জানান, বাড়িতে পুজো রয়েছে। তাই সাপের প্রয়োজন। তাঁকে বুঝিয়ে প্লাস্টিকের একটি পাত্রে গোখরোটিকে ভরে বাড়িতে নিয়ে আসেন। রাতে স্ত্রী এবং কন্যা একটি ঘরে শুয়ে পড়েন। অন্য ঘরে শুতে চলে যান গণেশ। স্ত্রী এবং কন্যা ঘুমিয়ে পড়লে গোখরোটি ওই ঘরে ছেড়ে দেন তিনি। গোখরোর ছোবলে মৃত্যু হয় বাসন্তী এবং দেবস্মিতার। গণেশের বিরুদ্ধে তদন্তে নামলেও পুলিশ কোনও তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতে পারছিল না। কিন্তু ক্রমাগত জেরার মুখে পড়ে সাপুড়ে এবং সাপের বিষয়টি জানতে পারে পুলিশ। তার পরই গ্রেফতার করা হয় গণেশকে।

Cobra Murder Odisha
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy