প্রতীকী ছবি।
গণপিটুনিতে ফের মৃত্যু হল এক দলিতের। এ বারের ঘটনা মধ্যপ্রদেশের নীমচ জেলার কুকদেশ্বর থানার অন্তর্গত লাসুদি অন্তরি গ্রামের। পুলিশ জানিয়েছে, গত কাল রাতে ময়ূর চুরি করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের হাতে ধরা পড়ে যান হীরালাল বানছড়া নামে এক দলিত প্রৌঢ়। তাঁর আরও তিন সঙ্গী পালিয়ে গেলেও তাঁকে ধরে ফেলে উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। প্রথমে তাঁর পোশাক খুলে নেওয়া হয়, তার পর শুরু হয় বেধড়ক মারধর।
গ্রামেরই কেউ এক জন ১০০-তে ফোন করে পুলিশে খবর দেন। ফোন পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ বাহিনী। গুরুতর আহত হীরালালকে তারাই হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু সেখানই মৃত্যু হয় ওই প্রৌঢ়ের। নীমচের পুলিশ সুপার রাকেশ সাগর জানিয়েছেন, হীরালালকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত দশ জনের মধ্যে ন’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুন, হিংসা ছড়ানো ছাড়াও তফসিলি জাতি জনজাতির বিরুদ্ধে নির্যাতন প্রতিরোধী আইনের অধীনেও মামলা করা হয়েছে। নিহত হীরালালের ছেলে রাহুল ও তাঁর দুই সঙ্গীর বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণি সুরক্ষা আইনের আওতায় মামলা করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধিতে ময়ূর শিকার, চুরি বা মারা অপরাধ। তবে রাহুল ও তাঁর সঙ্গীরা পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সারা দেশে বাড়তে থাকা গণপিটুনির তালিকায় নাম জুড়েছে মধ্যপ্রদেশেরও। দু’দিন আগে নীমচ জেলাতেই ছাগল চুরিতে অভিযুক্ত তিন জনকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। গত কয়েক দিনে রাজ্যে গণপিটুনির বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার ছেলেধরা সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগ ওঠে রায়সেন জেলায়। গত কাল ভোপালের হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তার আগের দিন ছেলেধরা সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন এক মহিলাকে মারধর করা হয়েছিল দেওয়াসে। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy