Advertisement
১৯ মে ২০২৪
Omicron

Omicron in India: একেবারে ঠিক আছি, কোনও সমস্যা নেই, বলছেন দেশের ‘প্রথম’ ওমিক্রন আক্রান্ত সেই চিকিৎসক

গত ২১ নভেম্বর ওই চিকিৎসকের করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। তাঁর হালকা জ্বর, কাঁপুনি ও গায়ে সামান্য ব্যথা ছিল।

প্রতীকী ছবি

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:০৮
Share: Save:

দেশে ওমিক্রন স্ট্রেনের করোনায় সংক্রমিত প্রথম দু’জনের এক জন তিনি। বেঙ্গালুরুর ৪৬ বছর বয়সি সেই চিকিৎসকের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট সাত দিনের মধ্যে দ্বিতীয় বার পজ়িটিভ আসায় কিছুটা চিন্তা বেড়েছিল কর্নাটকের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের। যদিও একটি চ্যানেলকে ফোনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই চিকিৎসক নিজেই জানিয়েছেন, তিনি ‘একেবারে ঠিক’ আছেন। চিন্তার কিছু নেই। তাঁর মতে, প্রথম বার করোনা ধরা পড়ার পরে নেগেটিভ রিপোর্ট আসতে সচরাচর সপ্তাহ দুয়েক সময় লাগে। ফলে আগামী দু’তিন দিনের মধ্যে তিনি কোভিড নেগেটিভ হয়ে যেতেও পারেন। টেলি-সাক্ষাৎকারে অবশ্য নিজের পরিচয় প্রকাশ করেননি তিনি।

গত ২১ নভেম্বর ওই চিকিৎসকের করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। তাঁর হালকা জ্বর, কাঁপুনি ও গায়ে সামান্য ব্যথা ছিল। পরের দিন তাঁর করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট আসে। সামান্য মাথা ঘোরার সমস্যা দেখা দেওয়ায় ২৫ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হন। সেই রাতেই মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি দিয়ে তাঁর চিকিৎসা হয়। পরের দিন সকাল থেকেই তাঁর শরীরে কোনও উপসর্গ ছিল না বলে ওই চিকিৎসকের দাবি। বস্তুত, তিনি জানিয়েছেন, করোনার অন্যান্য ভেরিয়েন্টে সংক্রমিতদের মতো তাঁর শ্বাসপ্রশ্বাসে কোনও বড়সড় সমস্যা হয়নি, এমনকি সর্দি-কাশিও হয়নি। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রাও স্বাভাবিক (৯৬-৯৭) ছিল। ওই চিকিৎসক নিজে বিদেশে যাননি। তবে তাঁর সন্দেহ, তিনি সম্ভবত বিদেশে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হওয়া কোনও রোগীর সংস্পর্শে এসেছিলেন হাসপাতালে কাজ করার সময়ে।

আজ ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) বলেছে, দেশে ওমিক্রন-আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে বাধ্য। এখনও পর্যন্ত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বলা চলে, এই স্ট্রেন ডেল্টার চেয়ে অন্তত দশ গুণ বেশি সংক্রামক। আইএমএ-র বক্তব্য, ‘‘ভারত যখন কোনও মতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরছে, তখন এটি (ওমিক্রন) এক বিরাট ধাক্কা। যথাযথ পদক্ষেপ না করলে আমরা হয়তো সংক্রমণের বিরাট একটা তৃতীয় ঢেউ দেখব। তবে প্রতিষেধক যে সংক্রমণ তীব্র হতে দিচ্ছে না, তা প্রমাণিত। বিপদ কাটাতে ভারতকে টিকাকরণে নজর দিতেই হবে।’’ আজ মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী আদিত্য ঠাকরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়াকে চিঠি লিখে সুপারিশ করেছেন, চিকিৎসাকর্মী ও ফ্রন্টলাইন কর্মীদের টিকার অতিরিক্ত ডোজ় দেওয়া হোক। টিকাকরণের ন্যূনতম বয়স ১৫ বছর করা এবং দ্রুত বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকাকরণের আওতায় আনতে দু’টি ডোজ়ের ব্যবধান কমিয়ে চার সপ্তাহ করার আর্জিও জানিয়েছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Omicron Covid 19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE