বাংলাদেশি সন্দেহে এক যুবককে গ্রেফতার করল কেরল পুলিশ। কেরলের কোল্লাম শহর থেকে তাঁকে পাকড়াও করা হয়েছে। ধৃতের নাম পরিমল দাস। ২১ বছর বয়সি ওই যুবক পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল বলে দাবি পুলিশের।
কেরলের কোন প্রান্ত কত জন পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন, সেই সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে সে রাজ্যের পুলিশ। সম্প্রতি কেরলের উপকূলবর্তী ওই শহরেও অনুরূপ একটি অভিযান চালানো হচ্ছিল পুলিশের তরফে। ওই অভিযান চলাকালীনই পরিমল ধরা পড়েন বলে জানিয়েছে পুলিশ। সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুসারে, পুলিশের দাবি, ধৃত ভুয়ো আধার কার্ড ব্যবহার করছিলেন বলেও জেরায় উঠে এসেছে। স্থানীয় ‘এজেন্ট’দের মারফত ভুয়ো ঠিকানা ব্যবহার করে তিনি ওই আধার কার্ড তৈরি করিয়েছিলেন বলে দাবি পুলিশের। এমন এক সন্দেহভাজন ‘এজেন্ট’-এর বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
পিটিআই অনুসারে, বাংলাদেশি সন্দেহে ধৃত পরিমলের বিরুদ্ধে বিদেশি নাগরিক আইন (ফরেনার্স অ্যাক্ট)-এর নির্দিষ্ট ধারায় এবং জালিয়াতির অভিযোগে এফআইআর রুজু হয়েছে। কোল্লমের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস শরিফ জানান, অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে আরও জেরা করা হবে। আরও কোনও অবৈধবাসী ওই এলাকায় রয়েছে কি না, তা জানার চেষ্টা করা হবে বলেও জানান ওই পুলিশকর্তা।
আরও পড়ুন:
বস্তুত, সম্প্রতি বাংলাদেশি সন্দেহে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভারতীয় নাগরিকদেরও আটক করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ধৃতদের অনেকেই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। ভিন্রাজ্যে পুলিশি ‘অতিসক্রিয়তা’র বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে আদালতে। সুপ্রিম কোর্ট এবং কলকাতা হাই কোর্ট— দু’জায়গাতেই এ বিষয়ে মামলা হয়েছে।
বীরভূমের বাসিন্দা সোনালি খাতুন-সহ ছ’জনকে গত জুন মাসে বাংলাদেশি সন্দেহে পাকড়াও করেছিল দিল্লি পুলিশ। তার পরে অসম সীমান্ত দিয়ে জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। পরে জানা যায়, তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। সোনালিদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশও দিয়েছে হাই কোর্ট। এরই মধ্যে বাংলাদেশি সন্দেহে আরও এক যুবক গ্রেফতার হলেন কেরলে।