কন্নড় অভিনেত্রী রান্যা রাও-সহ তিন জনকে এক বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত। রান্যা ছাড়াও বাকি দুই অভিযুক্ত হলেন তরুণ কোন্ডারু রাজু এবং সাহিল জৈন। এই এক বছর জেলবন্দি থাকার সময় জামিনের জন্য আবেদন করতে পারবেন না অভিযুক্তেরা। এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, দুই সঙ্গী তরুণ এবং সাহিলকে নিয়ে সোনাপাচারের একটি সিন্ডিকেট তৈরি করেছিলেন কন্নড় অভিনেত্রী। মূলত দুবাই, উগান্ডা এবং আরও বেশ কয়েকটি দেশ থেকে সোনাপাচারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাঁরা। সোনাপাচারের টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনও করা হত বলেও জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, গত ৩ মার্চ বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া বিমানবন্দরে ১৪কেজি সোনা-সহ ধরা পড়েন কন্নড় অভিনেত্রী। যার বাজারদর ছিল সাড়ে ১২ কোটি টাকা। রান্যার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে নগদ আড়াই কোটি টাকা এবং দু’কোটি টাকার সোনার গয়না উদ্ধার হয়।
সোনাপাচার মামলায় ডিআরআইয়ের আবেদনের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। পরে এই একই মামলায় তদন্ত শুরু করে ইডিও। বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরের ঘটনার দিন তিনেক পর মুম্বই বিমানবন্দর থেকেও প্রচুর সোনা উদ্ধার হয়। সেই সোনাও দুবাই থেকে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে আনা হচ্ছিল বলে মনে করেন তদন্তকারীরা। তাঁদের অনুমান, দুবাই থেকে কোনও এক চক্র এই সোনাপাচারের নেপথ্যে রয়েছে। যদিও সেই ব্যাপারে কোনও সূত্র মেলেনি বলেই খবর।
ডিআরআই দাবি করেছিল, বন্ধু রাজুর সঙ্গে প্রায় ২৬ বার দুবাইয়ে গিয়েছিলেন রান্যা। প্রতি বারই সকালে গিয়ে সেই রাতে ফিরেও এসেছিলেন। তদন্তকারীদের একটি অংশ মনে করছে, সোনাপাচারের উদ্দেশ্যেই অত বার ওই তরুণের সঙ্গে সকালে গিয়ে রাতে ফিরে এসেছিলেন রান্যা। সোনাপাচারের অভিযোগে তরুণকেও গ্রেফতার করা হয়।