সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান এবং ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে নয়াদিল্লির বার্তা পৌঁছে দিতে দেশে দেশে যাচ্ছে কেন্দ্রের সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল। সেইমতোই রাশিয়ায় গিয়ে বিপাকে পড়ল তারা। মস্কো বিমানবন্দরে আচমকা ড্রোন হামলা হওয়ায় মাঝ-আকাশে বিমান নিয়ে চক্কর কাটতে হল কানিমোঝি করুণানিধিদের।
কেন্দ্রের প্রতিনিধিদল জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার মস্কো বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা হয়েছিল। এর জেরে বেশ কিছু ক্ষণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বিমানবন্দর। দেশীয়, আন্তর্জাতিক সব উড়ানেরই ওঠানামা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ঘটনাচক্রে, ওই সময়েই কানিমোঝিদের বিমান অবতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু মস্কো বিমানবন্দর থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁদের বিমান এখনই অবতরণ করতে পারবে না। এর জেরে বাধ্য হয়েই মাঝ-আকাশে চক্কর কাটে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের বিমান।
পরে অবশ্য স্বাভাবিক ভাবেই কানিমোঝিদের বিমান অবতরণ করে। মস্কো বিমানবন্দরে তাঁদের স্বাগত জানান রাশিয়ার ভারতীয় দূতাবাসের আধিকারিকেরা। কেন্দ্রের ওই প্রতিনিধিদলে তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম করুণানিধির কন্যা তথা ডিএমকে-র সাংসদ কানিমোঝি ছাড়াও ছিলেন সমাজবাদী পার্টির রাজীব রাই, ন্যাশনাল কনফারেন্সের মিয়ান আলতাফ আহমেদ, বিজেপির ব্রিজেশ চৌতা, আরজেডির প্রেমচাঁদ গুপ্ত, আপের অশোককুমার মিত্তল।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনার পর পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ করেছিল ভারত। তাদের বিরুদ্ধে প্রত্যাঘাতের অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এই ‘সিঁদুর’ অভিযানে। এর পর ভারত-পাক সংঘাত বেশ কিছু দিন স্থায়ী হয়েছিল। আপাতত সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। এ বার সেই ‘সিঁদুর’ অভিযানের বার্তাই আন্তর্জাতিক মহলের সামনে স্পষ্ট করে তুলে ধরতে চাইছে ভারত।