এটার তাঁর শেষ নির্বাচন। বিহারে বিধানসভা ভোট ঘোষণার আগেই তেমন বার্তা দিয়েছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার। সোমবার নির্বাচন কমিশন বিহারের বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করার পরে প্রথম প্রকাশিত জনমত সমীক্ষায় এগিয়ে রইলেন তিনিই।
আইএএনএস-ম্যাট্রিজ় প্রকাশিত ওই জনমত সমীক্ষা জানাচ্ছে, বিহারের ভোটদাতাদের ‘পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী’ হিসাবে পছন্দের দৌড়ে নীতীশ সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তাঁর পক্ষে রয়েছেন ৪২ শতাংশেরও বেশি ভোটদাতা! ২৩ শতাংশের সমর্থন পেয়ে ওই সমীক্ষায় দ্বিতীয় স্থানে আরজেডির তেজস্বী যাদব। সমীক্ষায় দাবি, বিজেপি এবং তার সহযোগী জেডিইউ-কে বিহারে সুশাসনে প্রতিষ্ঠার উপযুক্ত বলে মনে করছেন যথাক্রমে ৩৫ এবং ১৮ শতাংশ ভোটদাতা।
তেজস্বী যাদবের আরজেডি এবং তার সহযোগী কংগ্রেসের পিছনে রয়েছে যথাক্রমে ১৩ এবং ২ শতাংশ ভোটারের সমর্থন। এ ক্ষেত্রে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের (‘পিকে’ নামে যিনি পরিচিত) প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন ৮ শতাংশ বিহারি ভোটদাতা। আগামী ৬ এবং ১১ নভেম্বর— দু’দফায় বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ হবে। গণনা ১৪ নভেম্বর। মূল লড়াই বিজেপি-জেডিইউ জোট এনডিএ এবং আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের ‘মহাগঠবন্ধন’-এর মধ্যে।
বিহারে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১২২টি আসন। জনমত সমীক্ষার পূর্বাভাস, এ বারের ভোটে সামগ্রিক ভাবে বিহারের ৪৯ শতাংশের সামান্য বেশি ভোট পেয়ে ১৫০-১৬০টি আসনে জিততে পারে এনডিএ। বিজেপি ৮০-৮৫ এবং জেডিইউ ৬০-৬৫টি আসনে জিততে পারে। চিরাগ পাসোয়ানের এলজেপি, জিতনরাম মাঁঝির হিন্দুস্থান আওয়াম মোর্চার মতো ছোট শরিকদের ঝুলিতে যেতে পারে ১০-১৫টি। অন্য দিকে, বিরোধী জোটের আরজেডি ৭০-৮৫, কংগ্রেস ৭-১০ এবং তিন বাম দল (সিপিআইএমএল লিবারেশন, সিপিএম, সিপিআই) মিলে ৬-৯টিতে জয়ী হতে পারে। পিকের জন সুরাজ পার্টি ২-৫টি এবং আসাদউদ্দিন ওয়েইসির মজলিস-ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (মিম) ১-৩টি জিততে পারে বলে ওই জনমত সমীক্ষার ইঙ্গিত।