কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে অনেকদিন ধরেই সরব কেরলের এলডিএম সরকার। বঞ্চনার প্রতিবাদে কেরলের বাম সরকারের দিল্লিতে আজ যে বিক্ষোভ দেখাল তা অচিরেই হয়ে উঠল বিরোধীদের মঞ্চ।
কর্নাটকের কংগ্রেস শাসিত সরকারের মুখ্যমন্ত্রী দলবল নিয়ে বুধবার দিল্লির যন্তর মন্তরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। আজ কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন তাঁর দলবল নিয়ে যন্তর মন্তরে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো লঙ্ঘন নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন। তাতে যোগ দিলেন আম আদমি পার্টি (আপ)-এর দুই মুখ্যমন্ত্রী দিল্লির অরবিন্দ কেজরীওয়াল, পঞ্জাবের ভগবন্ত মান। তাঁদের সঙ্গে ডিএমকে, এনসিপি, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লা, কপিল সিব্বল-সহ বেশ কয়েকটি বিরোধী শিবিরের নেতানেত্রী যোগ দেন। কংগ্রেস অবশ্য কেরলের রাজ্য রাজনীতির সমীকরণের জন্য এই বিক্ষোভ থেকে সতর্ক দূরত্ব বজায় রেখেছিল।।
আজ সংসদ চত্বরে তামিলনাড়ুর ডিএমকে সাংসদরা কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে ধর্না দিয়েছেন। সংসদের ভিতরে তৃণমূলের সৌগত রায় পশ্চিমবঙ্গের প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন অবশ্য রাজ্যসভায় বাজেট নিয়ে আলোচনার জবাবে ফের দাবি করেছেন, কোনও রাজ্যের পাওনা বকেয়া কেন্দ্রীয় সরকার আটকে রাখেনি। কিন্তু পিনারাই, কেজরীওয়ালরা অভিযোগ তুলেছেন, মোদী সরকার বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির বিরুদ্ধে বিরূপ মনোভাব নিয়ে চলছে। কেজরীওয়াল বলেন, অর্ধেক রাজ্য বিজেপি-বিরোধী দল শাসিত। এই রাজ্যগুলির ৭০ কোটি মানুষের বিরুদ্ধে মোদী সরকার যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।
দিল্লির সমাবেশের প্রতি সংহতি জানাতে আজ আগরতলায় এক বিক্ষোভে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার সরব হন। তিনি বলেন, কেন্দ্র সব কিছু কুক্ষিগত করছে। সমস্ত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপরে আক্রমণ চালাচ্ছে। তাকে প্রতিরোধ করতে বিকল্প সরকার গড়ার স্নোগান উঠছে। গণতন্ত্রকে বাঁচাতে সমস্ত স্তরের মানুষকে এতে শামিল হতে হবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)