ছবি: পিটিআই।
হাতে অস্ত্র আছে। কিন্তু লক্ষ্যভেদ হচ্ছে না। মোদী সরকারকে নিশানা করার কাজে তেড়েফুঁড়ে নামতে গিয়েও গুলিয়ে ফেলছে কংগ্রেস। এ নিয়ে অন্য বিরোধী দলগুলির মধ্যে ক্ষোভ জমছে।
আজ কংগ্রেস লোকসভায় পেঁয়াজের চড়া দাম নিয়ে সরব হয়। কিন্তু রাজ্যসভায় তারা গাঁধী পরিবারের এসপিজি নিরাপত্তা নিয়েই কথা বলে। অনেকেরই জিজ্ঞাস্য, ভয়ের আবহ নিয়ে শিল্পমহলের নালিশ থেকে শুরু করে আর্থিক দুরবস্থার মতো এত বিষয় হাতে থাকতে কংগ্রেস কেন গাঁধী পরিবারের নিরাপত্তা নিয়েই চিন্তিত? আজ এসপিজি বিল নিয়ে বিতর্কে তৃণমূল, ডিএমকে, আরজেডি ও বামেরা কংগ্রেসকে সমর্থন করলেও প্রশ্নটা ঘরোয়া আলোচনায় বারবারই উঠছে। এসপি, বিএসপি কংগ্রেসকে এসপিজি প্রশ্নে সমর্থন করেওনি। দেশের জ্বলন্ত সমস্যাগুলো নিয়ে যথেষ্ট গলা না চড়িয়ে কংগ্রেস বারংবার গাঁধী পরিবারের নিরাপত্তা বিতর্কের আবর্তেই ঘুরছে বলে বাকি বিরোধীদের অনেকেরই মত।
সেই সঙ্গে জোরালো হচ্ছে, বেফাঁস কথা বলে সমস্যা বাড়ানোর অভিযোগও। যেমন আজ যখন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী পেঁয়াজের দাম নিয়ে সরব হন, সংসদের বাকি কাজ মুলতুবি রেখে এ বিষয়ে আলোচনার দাবি জানান, সরকার পক্ষ তাঁকে আগের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে বলে চেপে ধরে।
আরও পড়ুন: অনশনে মালিওয়াল, একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবাদ যন্তরমন্তরে
অধীর রবিবার মন্তব্য করেছিলেন, গোটা দেশে এনআরসি হলে গুজরাত থেকে দিল্লিতে আসা নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহকেও কেউ ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলতে পারেন। পেঁয়াজের দাম নিয়ে প্রশ্নের মোকাবিলায় সেই প্রসঙ্গ টেনে আজ সংসদীয় প্রতিমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল বলেন, ‘‘অধীর আগে ক্ষমা চান। তার পরে তাঁকে বলতে দেওয়া হোক।’’ সোমবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকেও ‘নির্বলা’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন অধীর। তার জন্য এ দিন অধীরকে আক্রমণ করেন বিজেপি সাংসদ পুনম মহাজন। কংগ্রেস অভিযোগ তোলে, অপ্রাসঙ্গিক বিষয় টেনে এনে বিজেপি পেঁয়াজের দামের প্রশ্ন এড়িয়ে যেতে চাইছে। প্রতিবাদে ওয়াক-আউট করে তারা। অধীরের যুক্তি, তাঁর মন্তব্য নিয়ে তিল থেকে তাল করা হচ্ছে। তিনি পরে দাবি করেন, ‘‘আর্থিক সঙ্কট, জম্মু-কাশ্মীর, চাষিদের দুরবস্থা, সরকারের কাছে যে সব প্রশ্নের জবাব নেই, সেগুলি থেকে সরকার পালাতে চাইছে। ওরা বিষয়গুলো তুলতে না দিয়ে হট্টগোল বাধাচ্ছে।’’ কিন্তু অন্য বিরোধী দলগুলির কেউ কেউ এ-ও বলছেন, বারবার উল্টোপাল্টা কথা বলে কংগ্রেসের পক্ষ থেকেই বিজেপির হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হচ্ছে। জরুরি বিষয়, জরুরি প্রশ্ন পিছনে চলে যাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy