Advertisement
E-Paper

বিহারে ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধনের বিরুদ্ধে সংসদের ঘরে-বাইরে বিক্ষোভ ‘ইন্ডিয়া’র, তৃণমূল জুড়ল বাঙালি প্রসঙ্গও

সংসদের দুই কক্ষেই ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায় বিরোধী মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’র সদস্য দলগুলি। সংসদের বাইরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিক্ষোভে বিরোধী জোটের ঐক্যবদ্ধ চেহারাই ধরা পড়ে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৫ ১৫:০১
সংসদ চত্বরে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বিক্ষোভে (বাঁ দিক থেকে) প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, গৌরব গগৈ এবং সনিয়া গান্ধী। বৃহস্পতিবার বেলায়।

সংসদ চত্বরে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বিক্ষোভে (বাঁ দিক থেকে) প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, গৌরব গগৈ এবং সনিয়া গান্ধী। বৃহস্পতিবার বেলায়। ছবি: পিটিআই।

বিহারে ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবারও সরব হল বিরোধী দলগুলি। নির্বাচন কমিশনের এই সংশোধনের বিরুদ্ধে সংসদের দুই কক্ষেই বিক্ষোভ দেখায় বিরোধী মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’র সদস্যেরা। সংসদের বাইরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিক্ষোভে বিরোধী জোটের ঐক্যবদ্ধ চেহারাই ধরা পড়ে। বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা বা এসআইআর-এর বিরুদ্ধে কংগ্রেস, তৃণমূল, আরজেডি-সহ ‘ইন্ডিয়া’র প্রায় সব দলের সদস্যই সংসদচত্বরে স্লোগান দিতে থাকেন। একসময় বিক্ষোভে যোগ দেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সনিয়া গান্ধীও। ভোটার তালিকায় সমীক্ষা নিয়ে বিরোধীদের বিক্ষোভে শামিল হলেও বাংলা এবং বাঙালি প্রসঙ্গও উত্থাপন করেছে তৃণমূল।

বিরোধীদের হাতে ছিল ‘এসআইআর: গণতন্ত্রের উপর আঘাত’ লেখা পোস্টার। বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে প্রথমে দুপুর ২টো পর্যন্ত লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়। তার পর অধিবেশন শুরু হলেও হইহট্টগোল চলতে থাকে। রাজ্যসভা এবং লোকসভার অধিবেশন শুক্রবার সকাল ১১টা পর্যন্ত মুলতুবি করে দেওয়া হয়। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা বিরোধী সাংসদদের এই আচরণের নিন্দা করে বলেন, “এই কাজ সভার গরিমাকে নষ্ট করছে। যে আচরণ করা হচ্ছে, তা গোটা দেশ দেখছে।” বিরোধীরা অবশ্য নিজেদের বক্তব্যে অনড়। তা হল, অনতিবিলম্বে বিহারে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার কাজ স্থগিত করতে হবে।

শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার সমালোচনা করে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী বলেন, “এটা খুবই গুরুতর একটি বিষয়। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন কমিশনের মতো কাজ করছে না। এখন আমরা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত যে, নির্বাচন কমিশন কর্নাটকের একটি আসনে কারচুপি করতে দিয়েছে।” ভোটার তালিকা থেকে বহু বৈধ ভ‌োটারের নাম কেটে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন রায়বরেলীর কংগ্রেস সাংসদ।

দিল্লির বাঙালি অধ্যুষিত জয় হিন্দ কলোনিতে উচ্ছেদের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে পটিয়ালা হাউস আদালত। বিষয়টিকে তাঁদের আন্দোলনের জয় হিসাবেই দেখছে তৃণমূল। সমাজমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে পোস্ট করেন তৃণমূলের একাধিক সাংসদ। রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ লেখেন, “বাংলাভাষীদের ন্যায়বিচার দেওয়ার জন্য তৃণমূল এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াইয়ের প্রথম ধাপ এটি। বাংলা-বিরোধী নরেন্দ্র মোদী সরকার এবং বাংলা-বিদ্বেষী পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি বাংলা আর বাংলাভাষীদের নিশানা করলেও সফল হবে না।” জয় হিন্দ কলোনির বিষয়ে সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন মেদিনীপুরের তৃণমূল সাংসদ জুন মালিয়া। শুক্রবার আদালতের স্থগিতাদেশের বিষয়টি জানান তিনিও।

বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে অবসরগ্রহণ করেন ছয় সাংসদ। তাঁরা হলেন ডিএমকে-র এম মহম্মদ আবদুল্লা, এডিএমকে-র এন চন্দ্রশেখরন, পিএমকে-র অম্বুমণি রামডস, ডিএমকে-র এম ষন্মুগম, এমডিএমকে-র ভাইকো এবং ডিএমকে-র পি উইলসন। উইলসন অবশ্য সংসদের উচ্চ কক্ষে পুননির্বাচিত হয়েছেন। অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানের কাছে ৩০টি মুলতুবি প্রস্তাব সংবলিত নোটিস জমা পড়ে। সবগুলিই খারিজ করে দেন ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ। ওই নোটিসগুলির মধ্যে একটি জমা দেন ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগের সাংসদ আব্দুল ওয়াহাব। তিনি প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের হঠাৎ পদত্যাগ নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছিলেন।

Opposition Special Intensive Revision SIR
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy