ফাইল চিত্র।
রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পরে আজ প্রথম বসল সংসদের অধিবেশন। দুই কক্ষই আজ তাই অধিক অগ্নিগর্ভ, বিরোধী মঞ্চে তৃণমূল কংগ্রেস যোগ দেওয়ার ফলে ঐক্যের ছবিও বেশি মজবুত। উত্তাল বিরোধিতার মধ্যেই রাজ্যসভা থেকে ঘুরে আসা একটি সংশোধনী-সহ অর্থবিল গৃহীত হল লোকসভায়। এই বিল পাশ হয়ে যাওয়ার অর্থ বাজেট অধিবেশনের মূল কাজটি সেরে ফেলল সরকার। বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছেন, সংসদকে ব্যবহার করে কংগ্রেস এবং বিরোধীরা প্রচারের আলো শুষে নিচ্ছে। সরকারকে অপদস্থ করছে। সূত্রের খবর, তাই যত দ্রুত সম্ভব, এই অধিবেশন অনির্দিষ্ট কালের জন্য মুলতুবি করার কথা ভাবছে কেন্দ্র।
আজ রাতে কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভায় দলের নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গের বাসভবনে আগামী দিনে বিরোধীদের কৌশল নিয়ে বৈঠক করেন তৃণমূল-সহ বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতারা। সংসদের বাইরেও কী ভাবে আদানি কাণ্ডকে সামনে নিয়ে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কোণঠাসা করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়। ছিলেন সনিয়া গান্ধীও। আজ সকালেও খড়্গের নেতৃত্বে বিরোধীদের নিয়ে বৈঠক করে কংগ্রেস। সেই বৈঠকে যোগ দেয় তৃণমূলও। রাহুলের সদস্য পদ খারিজ হওয়ার প্রতিবাদে কংগ্রেস এবং কয়েক জন অন্য বিরোধী সাংসদকে লোকসভায় কালো পোশাক পরে আসতে দেখা গিয়েছিল। বিরোধী নেতারা সংসদ চত্বরের গান্ধী মূর্তি থেকে বিজয় চক পর্যন্ত মিছিল করেন। কংগ্রেস এবং তৃণমূল ছাড়াও আজ বিরোধী মঞ্চে একজোট হয়েছিল ডিএমকে, জেডিইউ, আরজেডি, বাম, বিআরএস, এনসিপি, আপ-এর মতো ১৭টি বিরোধী দল।
সকালে লোকসভা অধিবেশন শুরু হওয়ার পরে চিৎকারের মধ্যেই স্পিকার ওম বিড়লা তাঁর আসন গ্রহণ করার মুহূর্তে কংগ্রেস সাংসদেরা তাঁর চেয়ারের দিকে কাগজ ছুড়তে শুরু করেন। এই ঘটনার পর স্পিকার বলেন, “আমি মর্যাদার সঙ্গে সংসদ চালাতে চাই।” দ্রুত তিনি অধিবেশন মুলতুবি করে দেন বিকেল চারটে পর্যন্ত। চারটেয় কিছু ক্ষণের জন্য বসে অর্থবিলটি গৃহীত হয়ে আবার স্থগিত হয়ে যায় অধিবেশন। রাজ্যসভাও দফায় দফায় মুলতুবি হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy