উত্তরাখণ্ডে আবারও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। ছবি: পিটিআই।
বৃষ্টি এবং বন্যা পরিস্থিতির জেরে উত্তরাখণ্ডে এখনও পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ কমলেও পুরোপুরি থামার লক্ষণ এখনই নেই বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। শুধু তাই-ই নয়, নতুন করে রাজ্যের পাঁচ জেলায় বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে দেহরাদূনও।
বৃষ্টির কারণে বেশ কয়েকটি জায়গায় ধস নেমেছে। সুনীল এবং সিংধরে ধস নামায় আতঙ্ক বেড়েছে জোশীমঠেও। কারণে কয়েক দিন আগেই একাধিক জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছিল জোশীমঠে। নিকটবর্তী সুনীল এবং সিংধর এলাকায় ধস নামতেই আতঙ্কের প্রহর গুনছেন জোশীমঠের বাসিন্দারা। বর্ষার মরসুমে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে এক হাজারেরও বেশি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৯৯টি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত এবং ৩২টি বাড়ি নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সকালে ভারী বৃষ্টির কারণে চম্বা জেলার মারোদা গ্রামে দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে দুই শিশুর। আহত হয়েছেন তাদের ঠাকুরদা। ঘুমন্ত অবস্থাতেই তাদের উপর ঘরের দেওয়াল ধসে পড়ে। তাতেই চাপা পড়ে মৃত্যু হয় দুই শিশুর। মৃতেরা হল স্নেহা (১২) এবং রণবীর (১০)।
বৃহস্পতিবার রাতে প্রবল বৃষ্টির জেরে গৌরীকুণ্ডে ধস এবং হড়পা বান নেমে এসেছিল। সেই ঘটনায় ২৩ জন নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। বহু দোকান ভেসে গিয়েছে। কেদারনাথ যাওয়ার রাস্তাও বন্ধ হয়ে যায়। নিখোঁজদের মধ্যে শুক্রবার তিন জনের দেহ উদ্ধার হয়। বাকি ২০ জনের কোনও হদিস মেলেনি বলে রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy