জাল গুটিয়ে আনছে সিবিআই। আর এক-এক করে সেই জালে ধরা পড়ছেন ‘প্রভাবশালী ব্যক্তিরা’।
এর আগে সারদা কেলেঙ্কারিতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনারেল রজত মজুমদারকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। আর আজ অন্য একটি বেসরকারি অর্থ লগ্নি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগে ওড়িশার প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) অশোক মোহান্তিকে গ্রেফতার করল তারা। কটকের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। গ্রেফতার যে হতে পারেন, সম্ভবত সেটা আঁচ করেই দিন দশেক আগে ইস্তফা দেন মোহান্তি।
সিবিআই জানায়, ওড়িশায় ‘অর্থ তত্ত্ব’ (এটি) নামে একটি বেসরকারি অর্থ লগ্নি সংস্থার কর্ণধার প্রদীপ শেট্টির কাছ থেকে কটকে একটি বাড়ি-সহ কিছু সম্পত্তি কেনেন অশোক। সারদার মতো ওই লগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধেও আমানতকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে বলে সিবিআইয়ের অভিযোগ। শেট্টির দাবি, তিনি ওই সম্পত্তি কেনেন ওড়িশা হাইকোর্টের এক প্রধান বিচারপতির কাছ থেকে। সিবিআইয়ের পাল্টা দাবি, অর্থ লগ্নি সংস্থার কাছ থেকে উপঢৌকন হিসেবে ওই সম্পত্তি পেয়েছিলেন প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল। তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, ওই বাড়ি-সম্পত্তির জন্য মোহান্তিকে কোনও টাকাই দিতে হয়নি। কারণ, রাজ্য প্রশাসন যাতে শেট্টির সংস্থার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ভিত্তিতে কোনও আইনি ব্যবস্থা নিতে না-পারে, তিনি তার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।
মোহান্তি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, তিনি ওই সম্পত্তি কিনেছেন এক কোটি এক লক্ষ টাকা দিয়ে। স্টেট ব্যাঙ্কে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে চেকের মাধ্যমে টাকা মিটিয়েছেন। তার তথ্যপ্রমাণ দিয়েছেন তদন্তকারী সংস্থাকে। মোহান্তির পাশে দাঁড়িয়েছে ওড়িশা বার কাউন্সিলও। তাদের অভিযোগ, প্রাক্তন এজি-কে ঘিরে রাজনীতি করছে সিবিআই।
সিবিআই অফিসারদের ধারণা, শুধু মোহান্তি নন, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ঘনিষ্ঠ বহু রাজনৈতিক নেতাও অর্থ লগ্নি সংস্থার কাছ থেকে বিপুল অর্থ পেয়েছেন। ঠিক যেমন অভিযোগ উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের কিছু রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে। সেই জন্য ইতিমধ্যেই বাংলার বাম, কংগ্রেস ও তৃণমূল নেতাদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে সিবিআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy