২০০৯ সালে স্ত্রীকে ঘরের মধ্যে খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত হন এক স্বামী। —প্রতীকী চিত্র।
কোনও বাড়িতে খুন হলে, সেখানে বসবাসকারী সবাইকে ওই অপরাধ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন তদন্তকারীরা। এবং বাসিন্দারাও চুপ করে থাকতে পারবে না। একটি মামলার প্রেক্ষিতে এমনই রায় দিল ওড়িশা হাই কোর্ট।
বিচারপতি ডি দাস এবং বিচারপতি এসকে পানিগ্রাহীর পর্যবেক্ষণ, কোনও বাড়ির মধ্যে অপরাধ সংঘটিত হলে অভিযুক্ত ছাড়া অন্যদের মধ্যে এ নিয়ে গোপনীয়তা বজায় রাখার প্রয়াস লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু কেন এবং কী ভাবে এমন অপরাধ হল, সেটা ব্যাখ্যা করার দায় তাঁদের উপরও বর্তায়। কারণ, এ সব ক্ষেত্রে ‘ভারতীয় প্রমাণ আইন’-এর ১০৬ ধারা অনুযায়ী, অপরাধ প্রমাণ করার দায়িত্ব অন্যদের মধ্যেও থাকবে।
আদালত এ-ও বলে, ‘‘যেখানে হত্যার মতো অপরাধ একটি বাড়ির অভ্যন্তরে সংঘটিত হয়, সেখানে ওই মামলার প্রাথমিক ভার নিঃসন্দেহে অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারীদের উপর বর্তায়। কিন্তু মামলা প্রতিষ্ঠার জন্য আরও কিছু সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ওই বাড়ির লোকজনকেও সাহায্য করতে হবে।’’
২০০৯ সালে স্ত্রীকে ঘরের মধ্যে খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত হন এক স্বামী। ওই মামলায় ইতিমধ্যে বেশ কয়েক বছর ধরে জেলবন্দি তিনি। ২০১৪ সালে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। আবার ওই মামলার শুনানিতে এই নির্দেশ দেয় ওড়িশার উচ্চ আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy