উত্তর-পূর্বে এ বার তাঁদের লক্ষ্য যে ‘ত্রিপুরা’ তা আজ স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘২০১৮ সালের ত্রিপুরা বিধানসভা আসনে আমরা কটা আসন পাব, তা আমি নভেম্বর নাগাদ আপনাদের জানাতে পারব। তবে ক্ষমতায় যে আমরাই আসছি, এটা নিশ্চিত ভাবে এখনই জানিয়ে দিচ্ছি।’’
দু’দিনের ত্রিপুরা সফরে আজই আগরতলায় এসেছেন অমিত শাহ। আগরতলায় পৌঁছে সরকারি অতিথিশালাতে দলের রাজ্য সভাপতি বিপ্লব দেব এবং রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত নেতা সুনীল দেওধরের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন তিনি।
সাংবাদিকদের অমিত শাহ বলেন, ‘‘ত্রিপুরা একটি ছোট্ট রাজ্য হতে পারে, কিন্তু তার এত সম্ভাবনা ছিল যে এই রাজ্য একটি আদর্শ রাজ্য হয়ে উঠতে পারত। কিন্তু গত ১৯ বছরের কমিউনিস্ট শাসনের ফলে তা হতে পারেনি।’’ তাঁর বক্তব্য, এ রাজ্যে দু’টি দলের সঙ্গে তাঁদের লড়াই। একটি কমিউনিস্ট পার্টি, সারা বিশ্ব থেকেই যারা বিদায় নিয়েছে। অন্যটি কংগ্রেস, যারা এ দেশ থেকেই বিদায় নিতে চলেছে। বিধানসভা ভোটে বিজেপি একাই লড়বে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, ‘‘উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির মধ্যে অসম, মণিপুর, অরুণাচল এবং নাগাল্যান্ডে বিজেপি ক্ষমতায় আছে। এখন আমাদের নিশানা ত্রিপুরা।’’
অমিত শাহের অভিযোগ, ত্রিপুরাতে এখন সব চাকরির ক্ষেত্রেই দুর্নীতি হচ্ছে। নারী নির্যাতনেও এই রাজ্য এখন প্রথম সারিতে চলে এসেছে। তিনি হিসাব দেন: ইউপিএ-এর সময়ে ত্রয়োদশ অর্থ কমিশনে ত্রিপুরা পেয়েছিল ৭২৮৩ কোটি টাকা। নরেন্দ্র মোদীর সময়ে, চতুর্দশ অর্থ কমিশনে তা বেড়ে হয়েছে ২৫৩৯৬ কোটি টাকা। মোদীর শাসন কালেই ত্রিপুরার সঙ্গে সরাসরি বাংলাদেশের আখাউড়া পর্যন্ত রেল যোগাযোগ হতে যাচ্ছে। যার ফলে শুধুমাত্র ত্রিপুরা নয়, উত্তর পূর্বাঞ্চলের অর্থনীতিই সমৃদ্ধ হবে।
অমিত শাহের অভিযোগ, ‘‘মে দিবসের জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেছিলেন, যে কোনও ভাবে বিজেপিকে আটকাতে হবে। তার পরেই আমরা দেখলাম, আমাদের দশ জন সমর্থককে মেরে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছে সিপিএম।’’ মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের উদ্দেশে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যদি মনে করেন যে আমাদের সমর্থকদের উপর হামলা করে আমাদেরকে আটকানো যাবে, তাহলে ভুল করছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy