গত ৩০ অক্টোবর মাছু নদীতে ছিঁড়ে পড়েছিল মোরবী সেতু। ছবি: রয়টার্স।
ভেঙে পড়ার দিনে মোরবী সেতু দর্শনে ৩ হাজারেরও বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছিল বলে আদালতে জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী বিজায় জানি। এ বিষয়ে ফরেন্সিক রিপোর্টও জমা দিয়েছেন তিনি। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার দিন মোট ৩,১৬৫টি টিকিট বিক্রি হয়েছিল।
ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, সেতুর তারে মরচে পড়ে গিয়েছিল। তারগুলি যে বোল্ট দিয়ে জোড়া হয়েছিল, সেগুলিও আলগা হয়ে গিয়েছিল। ফলে এত মানুষের ভার সামলাতে পারেনি সেতু। শুধু তাই নয়, সেতুতে দর্শক নিয়ন্ত্রণে যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছিল এবং যাঁরা টিকিট সংগ্রহ করছিলেন, তাঁরা ছিলেন দিনমজুর। স্বাভাবিক ভাবেই, দর্শকদের কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, তা নিয়ে কোনও অভিজ্ঞতাই ছিল না ওই দিনমজুরদের।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, যাঁরা সেতুর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের নিরাপত্তা সম্পর্কিত কোনও নিয়ম জানানো হয়নি। কত মানুষকে সেতুতে একসঙ্গে উঠতে দেওয়া উচিত, সে সম্পর্কে তাঁদের কোনও ধারণা ছিল না।
পুনর্নিমাণের পর গত ২৬ অক্টোবর জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল মোরবী। মাছু নদীর উপর এই ঝুলন্ত সেতু দেখতে প্রচুর মানুষ হাজির হয়েছিলেন। গত ৩০ অক্টোবর সেই ভিড় সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছিল। একসঙ্গে প্রচুর মানুষ ঝুলন্ত সেতুতে উঠে পড়ায়, সেতু ছিঁড়ে নদীতে ১৩০ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন বহু মানুষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy