সুরজ পাল আমু। ছবি: সংগৃহীত।
দীপিকা বা সঞ্জয় লীলা ভংসালীকে হুমকি দিয়েই থেমে থাকেননি, ‘পদ্মাবতী’ বিতর্কে শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাক কাটারও হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। কারণ, ‘পদ্মাবতী’ ছবির সমর্থনে এগিয়ে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি হরিয়ানা বিজেপি-র মিডিয়া মুখপাত্র সুরজ পাল আমু। তবে শেষমেশ নিজেই রাজ্য মিডিয়া মুখপাত্র পদ থেকে ইস্তফা দিলেন আমু।
ছবিতে রাজপুতদের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে বলে শুটিং পর্ব থেকেই নানা গোলমাল বাধিয়ে এসেছে রাজস্থানের রাজপুত করণী সেনা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে জয়পুরে ছবির সেটে ভাঙচুর চালায় তারা। মারধর করা হয় পরিচালককে। সে সময় ছবির শুটিং সাময়িক ভাবে বন্ধ করতে বাধ্য হন ভংসালী।
আরও পড়ুন: দীপিকাদের ‘মুন্ডু কাটলে ১০ কোটি’, ঘোষণা বিজেপি নেতার
এ বার মমতার নাক কাটার হুমকি দিলেন সেই বিজেপি নেতা
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ‘পদ্মাবতী’ নিয়ে বিরোধিতা চলছে। রাজস্থান তো বটেই, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাবেও এই ছবির মুক্তিতে প্রবল আপত্তি উঠেছে। পাশাপাশি, এই ছবিকে অনেকেই সমর্থন জানিয়েছেন। কিন্তু ‘পদ্মাবতী’ বিতর্কে আমুর আগে কোনও বিজেপি নেতাই মুখ খোলেননি। সুর চড়ানো বা হুমকি তো দূর অস্ত। তাই সুরজ পাল আমুর এ হেন মন্তব্যে বেজায় অস্বস্তিতে পড়তে হয় বিজেপি নেতৃত্বকে। আমুর এই হুমকির প্রতিবাদে একজোট হয় বলিউড, টলিউড-সহ দেশের বিভিন্ন মহল।
তাঁর ইস্তফা-সহ গোটা বিষয়টি সম্পর্কে আমু জানিয়েছেন, হরিয়ানার মনোহর লাল খট্টর সরকার ‘পদ্মাবতী’র উপর নিষেধাজ্ঞা জারি না করে রাজপুত সম্প্রদায়কে অপমান করেছেন। তাঁর আরও দাবি, তাঁর মন্তব্যের অপব্যাখ্যা করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy