উরি এলাকার নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে কী ভাবে যেন পাকিস্তানে ঢুকে পড়েছিলেন বছর ৫৫-এর মহিলা। একে মানসিক প্রতিবন্ধী। তার উপর ভাষার সমস্যা। সব মিলিয়ে পাক সেনার হাতে আটক দিশাহারা ওই মহিলা নিজের পরিচয়টুকুও জানাতে পারেননি। সময়টাও খুব একটা সুবিধের নয়। সেটা ২০১৬-এর অক্টোবর। তার দিন কয়েক আগেই উরি হামলার ঘটনায় তোলপাড় কাশ্মীর-সহ গোটা দেশ। তবুও হারিয়ে যায়নি মানবিকতা। চার মাস পর সেই মহিলাকে ভারতে ফিরিয়ে দিল পাক সেনা। হাতে নতুন পোশাক আর মিষ্টি।
ওই মহিলার পরিচয় অবশ্য এখনও মেলেনি। শুধু জানা গিয়েছে তিনি বাঙালি। তবে বাড়ি কোথায়, নাম বা পরিবার— কোনও কিছুই জানাতে পারেননি তিনি। যদিও তার জন্য গত চার মাসে বিদেশের মাটিতে আতিথেয়তার কোনও ঘাটতি হয়নি।
অবশেষে সেই অতিথিকে বিদায় জানাল পাকিস্তান। বুধবার রাতে উরির আমন সেতু এলাকা দিয়ে ওই মহিলা দেশে ফেরেন। সেনা সূত্রের খবর, সে দিন সকালে ফোনে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে পাক সেনা। মাস চারেক আগে কাগজ কুড়ানি ওই মহিলা ভুল করে পাকিস্তানে ঢুকে পড়েন। তাঁকে আটক করে পাক সেনা। তবে কেউ অভিযোগ না জানানোয় জানাজানি হয়নি।
সেনাবাহিনীর এক আধিকারিক জানান, শ্রীনগরের এক মানসিক রোগীদের হাসপাতালে ওই মহিলাকে ভর্তি করা হয়েছে। শারীরিক ভাবেও তিনি দুর্বল। অন্তত দু’মাস তাঁর মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসা।
বছর দেড়েক আগে ভারত-পাক সরকারের যৌথ প্রচেষ্টায় পাকিস্তানে হারিয়ে যাওয়া মূক-বধির মেয়ে গীতা ফিরে এসেছিলেন বিহারে, নিজের বাড়িতে। তবে গত বছর পঠানকোট, উরিতে একের পর এক পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি হামলা আর ভারতের পাল্টা জবাবে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। কিন্তু নতুন বছরের শুরুতেই চারশোর বেশি বন্দি ভারতীয় মৎস্যজীবীদের মুক্তি দিয়েছে পাকিস্তান। এ বার তারা দেশে ফিরিয়ে দিল মানসিক প্রতিবন্ধী এক বাঙালি মহিলাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy