পাকিস্তানে ভারতীয় সেনাবাহিনী সশস্ত্র অভিযান চালিয়েছে, ছ’মাসও কাটেনি। এর মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরে নতুন করে প্রত্যাঘাতের ছক কি কষে ফেলল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা? গোয়েন্দা সূত্র উল্লেখ করে এমনটাই দাবি করেছে এনডিটিভি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, লস্কর-এ-ত্যায়বা এবং জইশ-ই-মহম্মদের সদস্যেরা কাশ্মীরে হামলার পরিকল্পনা করছে। ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে সেই খবর এসেছে। ইতিমধ্যে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি কাশ্মীরের সীমান্তের বাইরে রসদ সরবরাহ থেকে শুরু করে তথ্য সংগ্রহের কাজ বাড়িয়েছে। এমনকি রিপোর্টে দাবি, নিরাপত্তারক্ষীদের চোখ এড়িয়ে অনুপ্রবেশও ঘটছে মুহুর্মুহু!
আরও পড়ুন:
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ করেছিল নয়াদিল্লি। ৬ মে মধ্যরাতে পাক জঙ্গিঘাঁটিগুলি ধ্বংস করতে সে দেশে হামলা চালায় ভারতীয় সেনা। তারই নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’। তার পর দুই দেশের মধ্যে টানা চার দিন সশস্ত্র সংঘর্ষ চলেছে। এখন সংঘর্ষবিরতি থাকলেও দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে। সিঁদুর অভিযানের পর কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের একাধিক গোপন পথ খুঁজে বার করেছিলেন গোয়েন্দারা। সেখানে নজরদারিও বৃদ্ধি করা হয়। তা সত্ত্বেও কী ভাবে অনুপ্রবেশ ঘটছে? প্রশ্ন উঠেছে।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, লস্কর জঙ্গিদের একটি গোষ্ঠী কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে ড্রোন দিয়ে নজরদারি চালিয়েছে। কোন কোন অংশে নিরাপত্তাবাহিনীর নজরদারি দুর্বল, তা চিহ্নিত করেছে। এ ছাড়া, পাকিস্তানের স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপের (এসএসজি) প্রাক্তন সৈনিক এবং কিছু জঙ্গিকে নিয়ে নতুন পাকিস্তানি সীমান্ত সক্রিয় গোষ্ঠী (বিএটি) গঠন করা হয়েছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে তাঁদের মোতায়েন করা হয়েছে বলেও খবর। অক্টোবর মাসেই সেখানে একটি উচ্চ পর্যায়ের গোপন বৈঠক হয়ে গিয়েছে। তাতে ছিলেন পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের আধিকারিকেরা। মনে করা হচ্ছে, সিঁদুর অভিযানের প্রত্যাঘাতে কোনও বড়সড় হামলার পরিকল্পনা চলছে সীমান্তের ও পারে, যা ঠেকাতে অবিলম্বে উপত্যকায় আরও সক্রিয় হতে হবে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী এবং গোয়েন্দাদের।