রামমন্দির উদ্বোধনে নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোমবার দুপুরে অযোধ্যার রামমন্দিরের উদ্বোধন করার পরেই প্রতিক্রিয়া জানাল পাকিস্তান। সে দেশের তদারকি সরকারের অভিযোগ, ভারতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান আদতে ‘সংখ্যাগুরুর একাধিপত্য প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ’।
পাক বিদেশ মন্ত্রকের ওই বিবৃতিতে ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যায় করসেবকদের হামলায় বাবরি মসজিদ ধ্বংস এবং অযোধ্যার ‘বিতর্কিত’ জমিতে রামমন্দির নির্মাণে সায় দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রসঙ্গও এসেছে। বলা হয়েছে, ‘‘দুঃখজনক ভাবে ভারতীয় শীর্ষ বিচারব্যবস্থা শুধু ওই ঘৃণ্য কাজের (বাবরি মসজিদ ধ্বংস) সঙ্গে যুক্তদের বেকসুর খালাস করেনি, সেই সঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়া মসজিদের জমিতে মন্দির নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে।’’
যদিও তথ্য বলছে, সুপ্রিম কোর্ট নয়, লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত মুক্তি দিয়েছিল লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলী মনোহর জোশী, উমা ভারতী-সহ অভিযুক্তদের। বিবৃতিতে পাক বিদেশ মন্ত্রকের আরও অভিযোগ, আগামী দিনে বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ এবং মথুরা শাহি ইদগাহ মসজিদেরও ‘পরিণতি’ হতে পারে বাবরি মসজিদের মতো। ভারতীয় মুসলিমদের অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক ভাবে ‘প্রান্তিক’ পরিণত করার উদ্দেশ্যেই এমন কার্যকলাপ চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy