Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Pakistan

ফের সার্জিকাল স্ট্রাইক! উদ্বেগ পাকিস্তানের, সতর্ক করা হল সেনাকে

পাক সংবাদমাধ্যমের দাবি, কৃষকদের বিক্ষোভ থেকে নজর ঘোরাতে নরেন্দ্র মোদী সরকার পাকিস্তানকে আক্রমণ করতে পারে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:২২
Share: Save:

ফের সার্জিকাল স্ট্রাইকের আশঙ্কা করছে পাকিস্তান। এ জন্য সে দেশের সেনাবাহিনীকে বিশেষ ভাবে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। আজ রাতে পাকিস্তানের একাধিক সংবাদমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।

পাক সংবাদমাধ্যমের দাবি, কৃষকদের বিক্ষোভ থেকে নজর ঘোরাতে নরেন্দ্র মোদী সরকার পাকিস্তানকে আক্রমণ করতে পারে। যে কোনও সময়েই সার্জিকাল স্ট্রাইক কিংবা নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতীয় সেনার আক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। এমন আশঙ্কাতেই পাক সেনাবাহিনীকে বিশেষ ভাবে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে বলে পাকিস্তানের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের দাবি। এ নিয়ে সে দেশের সেনাবাহিনী কিংবা সরকারি স্তরের কেউ মুখ না খুললেও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সূত্রকে উদ্ধৃত করে ওই খবর প্রকাশ করা হয়েছে।

পাকিস্তানের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম জিয়ো নিউজের একটি খবরে বলা হয়েছে, দেশের ভিতর ও বাইরের চাপের মধ্যে পড়ে ভারত সরকার এই আক্রমণের পরিকল্পনা করছে। ডোকলাম ও লাদাখে ‘হারের পরে’ এখন পরিস্থিতি থেকে নজর ঘোরাতেই ফের সীমান্তে শান্তি নষ্ট করতে চাইছে নয়াদিল্লি। সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, নিয়ন্ত্রণরেখায় হামলা করতে চাইছে ভারত। হতে পারে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকও। ওই সংবাদমাধ্যমের সূত্রের দাবি, ভারতে এই মুহূর্তে কৃষকদের বিক্ষোভ চলছে, সংখ্যালঘুরা অত্যাচারিত হচ্ছেন— এ সব থেকে নজর ঘোরাতে চাইছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। জিয়ো নিউজ বলেছে, ‘‘২০১৬ সালে কোনও প্রমাণ ছাড়াই নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে সার্জিকাল স্ট্রাইক করার দাবি করেছিল ভারত। ২০১৯ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এমনই পদক্ষেপ করতে চেয়েছিল নয়াদিল্লি। কিন্তু তা ব্যর্থ হয়।’’

আরও পড়ুন: নির্বাচনে অন্য অঙ্কগুলো কৃষকদের ক্ষোভকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়

শুধু জিয়ো নিউজই নয়, এক প্রভাবশালী পাকিস্তানি সাংবাদিক সলমন মাসুদও আজ রাতে একই বিষয় নিয়ে টুইট করেন। তিনি লিখেছেন, ‘‘পাকিস্তানের নিরাপত্তাবাহিনীর আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, ভারতের সঙ্গে পূর্ব সীমান্তে সেনাবাহিনীকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। সেনা কর্তারা জানাচ্ছেন, দিল্লিতে কৃষক আন্দোলন থেকে নজর ঘোরাতে ভারত সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের চেষ্টা চালাতে পারে অথবা সীমান্তে সংঘর্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।’’

পাকিস্তানের এই আশঙ্কা নিয়ে নয়াদিল্লির তরফে অবশ্য এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। ২০১৬ সালে উরিতে জঙ্গি হামলার পরে ২৯ সেপ্টেম্বর সার্জিকাল স্ট্রাইক করেছিল ভারত। নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংসের দাবি করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার।

আরও পড়ুন: ফের কেন্দ্রের প্রস্তাব ফেরালেন কৃষকরা, আরও বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Pakistan India Indian Army Surgical Strike
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE