কৃষি বিলকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে সরকার বিরোধী আন্দোলনের প্রথম পর্ব, আজ সংসদ চত্বরে দফায় দফায় ধর্না, বৈঠক, রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদনের মাধ্যমে শেষ হল। এর পর একে রাজ্য এবং জেলাস্তরে এই আন্দোলন ছডি়য়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।
রাজনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, এই বিলকে কেন্দ্র করে রাজ্যসভায় যে ভাবে আগাগোড়া মসৃণ থেকেছে মোদী বিরোধী সার্বিক ঐক্য, লোকসভায় তা দেখা যায়নি। সেখানে কংগ্রেস এবং তৃণমূল একত্রে ধর্নায় সামিল হয়নি। এমনকি, বিকেল পাঁচটার শেষ ধর্নায় যখন লোকসভার সব বিরোধী দল গাঁধী মূর্তির পাদদেশে বসে, তখন সেখানে থাকেনি তৃণমূল এবং টিআরএস। আবার রাষ্ট্রপতিকে লেখা ১৭টি বিরোধী দলের চিঠিতে (কৃষি বিল সই না করে সরকারকে ফেরত পাঠানোর দাবি সম্বলিত) শিবসেনা সই করলেও বিরোধীদের বয়কটে যোগ না দিয়ে, শেষ পর্যন্ত অধিবেশনে হাজির থেকেছে।
তবু দিনশেষে বিরোধী মহলের একাংশের দাবি, এই আন্দোলনকে যে পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে, তা, সংসদ শুরুর সময়ে ভাবা যায়নি। বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি বার বার এক ছাতার তলায় আসতে গিয়ে নানা কারণে ব্যর্থ হয়েছে আগে। তা সত্ত্বেও একটি বিল পাশকে কেন্দ্র করে সংসদ থেকে যে আন্দোলন শুরু হল, তাতে মোটের উপর কংগ্রেস, তৃণমূল, টিআরএস, ডিএমকে, এসপি-সহ প্রায় সব বিরোধী দলেরই সিলমোহর পাওয়া গিয়েছে। বিজেপি-র শরিক এবং বন্ধুদের মধ্যে ফাটল ধরানো গিয়েছে। আপ, কংগ্রেস, বাম এবং তৃণমূলের সাংসদেরা পাশাপাশি রাত কাটিয়েছেন সংসদ চত্বরে, খোলা আকাশের তলায়। অথচ এই সংসদীয় অধিবেশন শুরুর সময়ই পশ্চিমবঙ্গের ভোটকে সামনে রেখে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের সংঘাত প্রত্যক্ষ হয়ে উঠেছিল। তৃণমূলের নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের বক্তব্য, “প্রধানমন্ত্রীকে সকালে উঠে চা নিয়ে টুইট করতে হচ্ছে! এর থেকেই স্পষ্ট যে তিনি নজর ঘোরানোর জন্য কতটা মরিয়া।’’