১৪ দিন হয়ে গেল, সংসদে কোনও কাজ হচ্ছে না। অথচ সাংসদেরাই আজ নিজেদের ভাতা বাড়িয়ে নিলেন।
হট্টগোলের জেরে গড়পরতায় ১০ মিনিটের বেশি কোনও দিনই সংসদ চলছে না। সংসদ চালাতে সরকারও উদ্যোগী হচ্ছে না। মুখে অবশ্য সংসদীয় মন্ত্রী বিজয় গয়াল আজ বিরোধীদের সঙ্গে বৈঠক করে অচলাবস্থা কাটানোর কথা বলেন। কিন্তু বিরোধীদের বক্তব্য, সরকারের বন্ধু দলেরাই রোজ হাঙ্গামা করে সংসদ অচল রাখছেন। তার জেরে অনাস্থা প্রস্তাবও রোজ ‘আনবেন-আনবেন’ করে আনছেন না স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। এরই মধ্যে বেতন ও ভাতা নির্ধারণ করতে যৌথ কমিটি সাংসদদের বর্ধিত ভাতা মঞ্জুর করল আজ, সংসদের অধিবেশন অচল হওয়ার পর সংসদ ভবনের অ্যানেক্সে বৈঠকে বসে।
গত বাজেটেই অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি সাংসদদের বেতন দ্বিগুণ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন। গত মাসের শেষে সাংসদদের অন্যান্য ভাতা-বৃদ্ধিরও সিদ্ধান্ত নেয় মোদী মন্ত্রিসভা। নির্বাচনী ভাতা বাড়ানো হয়েছে ৪৫ হাজার টাকা থেকে ৭০ হাজার টাকা, অফিস খরচের জন্য ৪৫ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৬০ হাজার টাকা করা হয়েছে। সেটিই আজ কমিটি অনুমোদন করে বলে কমিটি সূত্রের খবর। এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, সংসদের অধিবেশন চালাতে প্রতি ঘণ্টায় আম জনতার ২ লক্ষ টাকা খরচ হয়। অথচ অধিবেশন কার্যত অচল থাকার পরেও সাংসদরা নিজেদের ভাতা বাড়াতে এত তৎপর কেন?
বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারি ইতিমধ্যেই দাবি তুলেছেন, কাজ না হলে সাংসদদের মাইনে নেওয়াও উচিত নয়। একই দাবি তুলেছেন অন্য সাংসদ জয় পান্ডাও। কিন্তু তৃণমূলের ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, ‘‘শুধু দুই সাংসদ কেন? তৃণমূলের ৪৭ জন সাংসদ বেতন বৃদ্ধির বিরুদ্ধে। তৃণমূলই একমাত্র দল, যারা এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy