সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনে বিচারপতি যশবন্ত বর্মাকে অপসারণের প্রস্তাব আনতে উদ্যোগী নরেন্দ্র মোদী সরকার। সেই বিচারপতির দিল্লির বাসভবন থেকে বস্তা ভর্তি নগদ টাকা উদ্ধারের পরে কেন এফআইআর, জেনারেল ডায়েরি হয়নি— তা নিয়ে আজ সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রশ্ন উঠল। আইন ও কর্মীবর্গ মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে সাংসদেরা আইন মন্ত্রকের আধিকারিকদের কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত জবাব চেয়েছেন।
মঙ্গলবার সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে হাই কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের আচরণবিধি, অবসরের পরে বিচারপতিদের পদগ্রহণ নিয়ে আলোচনা হয়। সূত্রের খবর, সেখানে একাধিক সাংসদ মত দেন, অবসরের পরে পাঁচ বছর পর্যন্ত বিচারপতিদের কোনও সরকারি পদ গ্রহণ করা উচিত নয়। সে ভাবেই বিচারপতিদের আচরণবিধি বা ‘কোড অব কনডাক্ট’ তৈরি হওয়া প্রয়োজন। প্রাক্তন বিচারপতিদের অবসরের পরেই তাঁদের সাংসদ হওয়া উচিত কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তাৎপর্যপূর্ণ হল, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি তথা বর্তমানে রাজ্যসভার সাংসদ রঞ্জন গগৈ এই কমিটির সদস্য হলেও তিনি এ দিনের বৈঠকে যোগ দেননি।
সূত্রের খবর, বৈঠকে তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় মত দেন, বিচারপতিদের আচরণবিধি তৈরি করতে হলে তা আইনের মাধ্যমে করতে হবে। কারণ সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব বিচারপতিদের আচরণ বিধি রয়েছে। সংসদের তরফে নতুন কোনও আচরণবিধি তৈরি করতে হলে তার জন্য সার্বিক বিল আনা প্রয়োজন বলেও সুখেন্দুশেখর-সহ কয়েক জন সাংসদ মত দেন। বেশ কিছু সাংসদ বলেন, কিছু বিচারপতি নিজেদের ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করছেন। বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে শুনানির সময় মন্তব্য করছেন। তার পরে ইস্তফা দিয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে সাংসদ হচ্ছেন। কিছু সাংসদ অভিযোগ তোলেন, কয়েকজন বিচারপতির রায়ে রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রতিফলন দেখা যাচ্ছেন। তার পরে তাঁরা রাজনৈতিক জনসভাতে যোগ দিচ্ছেন।
বিচারপতিদের অপসারণের প্রসঙ্গেই বর্তমানে ইলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার প্রসঙ্গ ওঠে। সুখেন্দুশেখর প্রশ্ন তোলেন, কেন বিচারপতির বাড়ি থেকে বস্তা ভর্তি টাকা উদ্ধারের কোনও আটক তালিকা তৈরি হয়নি? কিছু সাংসদ এফআইআর বা জেনারেল ডায়েরি না হওয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)