Advertisement
E-Paper

ট্রেনযাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে তিন বেলার খাবার! সচখণ্ড এক্সপ্রেসে ২৯ বছর ধরে মিলছে এই সুবিধা

প্রায় ২০০০ কিলোমিটারের যাত্রাপথ অতিক্রম করতে সময় লাগে প্রায় ৩৩ ঘণ্টা। ট্রেনটি থামে মোট ৩৯টি স্টেশনে। এই ট্রেনের যাত্রীরা প্রায় ২৯ বছর ধরে বিনামূল্যে খাবারের সুবিধা পেয়ে আসছেন।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ২০:৫৬
ট্রেনে খাবার পরিবেশন।

ট্রেনে খাবার পরিবেশন। —ফাইল চিত্র।

দূরপাল্লার ট্রেনে যাতায়াতের সময় টাকা দিয়ে খাবার কিনতে হয়! এটাই দস্তুর। হয় ট্রেনের টিকিট কাটার সময়েই খাবারের দাম দিয়ে রাখতে হয়, কিংবা যাত্রাপথে ট্রেনে টাকা দিতে খাবার কিনে নিতে হয়। তবে এমন ট্রেনও রয়েছে, যেটিতে সফর করলে বিনামূল্য খাবারের সুবিধা পান যাত্রীরা। গোটা ভারতে এই একটিমাত্র ট্রেনেই এই বিশেষ সুবিধা পাওয়া যায়। সেটি হল সচখণ্ড এক্সপ্রেস!

মহারাষ্ট্রের নান্দেড় থেকে পঞ্জাবের অমৃতসর পর্যন্ত যাতায়াত করে ট্রেনটি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি, গত প্রায় ২৯ বছর ধরে এই ট্রেনের যাত্রীরা বিনামূল্যে খাবারের সুবিধা। বস্তুত, এই ট্রেনের যাত্রাপথের শুরু এবং শেষ উভয় প্রান্তেই দুই ধর্মীয় স্থান রয়েছে। নান্দেড়ে রয়েছে হুজুর সাহিব গুরুদ্বার এবং অমৃতসরে রয়েছে স্বর্ণমন্দির (হরমিন্দর সাহিব গুরুদ্বার)। প্রায় ২০০০ কিলোমিটারের যাত্রাপথ অতিক্রম করতে সময় লাগে প্রায় ৩৩ ঘণ্টা। ট্রেন থামে মোট ৩৯টি স্টেশনে। তার মধ্যে আছে ছ’টি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন— নয়া দিল্লি, ভোপাল, পারভানি, জালনা, ঔরঙ্গাবাদ এবং মারাঠওয়াড়া। এই ছয় স্টেশনে সচখণ্ড এক্সপ্রেসের যাত্রীদের জন্য বিশেষ লঙ্গর রয়েছে। এই লঙ্গরগুলিতে সাধারণত খিচুড়ি, ডাল, আলু-বাঁধাকপি-সহ বিভিন্ন খাবার পাওয়া যায়।

মূলত গুরুদ্বারগুলিতে পাওয়া দানের টাকা দিয়ে এই খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। ট্রেনের বাতানুকূল কামরা থেকে শুরু করে অন্য সংরক্ষিত কামরা, সাধারণ কামরা— সব যাত্রীদেরই এই লঙ্গর থেকে খাবার দেওয়া হয়। বিনামূল্যে যাত্রীদের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়া হলেও যাত্রীদের অনুরোধ করা হয়, তাঁরা যেন থালা-বাসন নিজেদের সঙ্গেই নিয়ে আসেন।

train Meal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy