প্রতীকী ছবি।
রাস্তার ধারে মিলেছিল ক্ষতবিক্ষত এক মহিলার দেহ। স্বামী, বাপের বাড়ির লোকজন শনাক্ত করেছিলেন। নিয়ম মেনে ময়নাতদন্তের পর তাঁদের হাতে দেহ তুলে দিয়েছিল পুলিশ। অন্তিম ক্রিয়াকর্মও সেরে ফেলেছিলেন বাড়ির লোকজন। এ পর্যন্ত ঘটনায় কোনও রহস্য নেই। শুধু খুনি ধরা পড়েনি এই যা। কিন্তু সেই ঘটনা ঘিরেই তীব্র রহস্য দানা বেঁধেছে পঞ্জাবের পাটিয়ালায়। পুলিশ থেকে এলাকাবাসী, সবাই হতবাক। নতুন করে জট খুলতে মাথার চুল ছেঁড়ার উপক্রম পুলিশের গোয়েন্দাদের।
কারণ, আচমকাই গ্রামে ফিরে এসেছেন ‘নিহত’ সেই বিবাহিত মহিলা। সঙ্গে প্রেমিক। খবর পেয়েই পড়িমড়ি করে গ্রামে ছোটেন পুলিশ কর্মীরা। তার পর জানা যায়, ওই মহিলা আসলে স্বামীকে ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে ঘর ছেড়েছিলেন। কিছু দিন পর সেই গ্রামেই ফিরে এসেছেন। তখনই পুলিশ পড়ে মহা ফাঁপড়ে। তা হলে যাঁর মৃতদেহ সৎকার করলেন সেটা কার?
একটু পিছনের দিকে ফেরা যাক। গত ১২ ডিসেম্বর পাটিয়ালা-সাংরুর বাইপাসের ধারে এক মহিলার ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। আবার কয়েক দিন আগেই রূপনগর জেলার চামকাউর সাহিব গ্রামের গৃহবধূ নয়না রানি নিখোঁজ হন। পরিবারের লোকজনও নিখোঁজ ডায়েরি করেন। মৃতদেহ উদ্ধারের পর নয়নার পরিবারের বাড়ির লোকজনকে ডাকা হয়। নয়নার স্বামী, বাবা-মা এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন গিয়ে মৃতদেহ শনাক্ত করেন।
আরও পড়ুন: খুন করে স্বামীর দেহের পাশেই রাত কাটালেন, সকাল হতেই অফিস গেলেন স্ত্রী
অন্য দিকে, বুধবারই পুলিশ খবর পায়, চামকাউর সাহিব গ্রামে ফিরে এসেছেন নয়না। সঙ্গে সঙ্গে গ্রামে ছোটেন তাঁরা। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। পরে তাঁর সঙ্গেই ফিরে এসেছেন। রুপনগর সদর থানার পুলিশ অফিসার যশবিন্দর সিংহ তিওয়ানা বলেন, ‘‘নয়নার বাবা-মা ও স্বামীকে জেরা করা হয়েছে। তাঁরা বলেছেন, মুখ বিকৃত ছিল। তাই গয়না এবং জামাকাপড় দেখে মনে হয়েছিল, ওটা নয়নারই দেহ।’’
আরও পড়ুন: শার্লি এবদো হামলায় চার বছর পর সন্দেহভাজন জঙ্গি গ্রেফতার
ওই পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, নিহত মহিলার সৎকার হলেও নিয়ম মেনে তাঁর চুল এবং কিছু নমুনা রাখা হয়েছে। সেটা থেকে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি একটি খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে তাঁদের অনুমান, বাইরে কোথাও খুন করে বাইপাসের ধারে মহিলার মৃতদেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy