Advertisement
E-Paper

এ বার মন্দির হবেই, আশায় বুক বাঁধছে অযোধ্যা

রবিবার দুপুরে লখনউয়ে যোগী আদিত্যনাথের শপথের পর অযোধ্যাবাসী নিশ্চিত— রামমন্দির এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।রাম জন্মভূমি ঘিরে আবেগ এবং মন্দিরকে ঘিরে এলাকায় উন্নয়ন— দুই কারণেই অযোধ্যায় রামমন্দির দেখতে চান মানুষ। নতুন মুখ্যমন্ত্রীও ঠিক সেই কথাই বলেন— রুটি ও রামের মিশেলেই হয় উন্নয়ন।

প্রেমাংশু চৌধুরী

শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৭ ০৪:৪৭

রবিবার দুপুরে লখনউয়ে যোগী আদিত্যনাথের শপথের পর অযোধ্যাবাসী নিশ্চিত— রামমন্দির এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।

রাম জন্মভূমি ঘিরে আবেগ এবং মন্দিরকে ঘিরে এলাকায় উন্নয়ন— দুই কারণেই অযোধ্যায় রামমন্দির দেখতে চান মানুষ। নতুন মুখ্যমন্ত্রীও ঠিক সেই কথাই বলেন— রুটি ও রামের মিশেলেই হয় উন্নয়ন।

এ সব নিয়ে আদিত্যনাথের কোনও রাখ ঢাক নেই। গোরক্ষপুরের এই সাংসদ তাঁর এলাকার আলিনগরকে আর্যনগর, উর্দু বাজারকে হিন্দি বাজার করে ছেড়েছেন। এমনকী সুযোগ এলে তিনি তাজমহলের নামও বদলে দিতে চান। কারণ তাঁর বিশ্বাস, তাজমহল আদতে ‘তেজো মহালয়’ নামে একটি শিবমন্দির ছিল।

আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের আগে সুর চড়বে হিন্দুত্বের, মোদীর স্পষ্ট অঙ্ক

শুধু এই কারণেই অযোধ্যাবাসী যোগীর ওপর ভরসা রাখছেন না। আসল কারণ হল, আদিত্যনাথের সন্ন্যাস বা রাজনৈতিক জীবনের শুরুই রামমন্দির আন্দোলনের আঁতুড়ঘর গোরক্ষনাথ মঠ থেকে। ১৯৪৯-এ এই মঠ থেকেই রাম জন্মভূমি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন মহন্ত যোগী দিগ্বিজয় নাথ। টানা ন’দিন রামচরিত মানস পাঠের পর বাবরি মসজিদে ঢুকে রাম-সীতার মূর্তি বসানো হয়। এই ‘কান ফাট্টা’ নাথ সম্প্রদায়ের সাধুরা তাঁদের কানের লতি কেটে রাখেন এই যুক্তিতে যে, তাঁরা লোকের নয়, অন্তরের কথা শোনেন। আর যোগী আদিত্যনাথের অন্তরেই বিরাজিত রামমন্দির।

উত্তরপ্রদেশে বিজেপির ভোটের ইস্তেহারে মন্দিরের কথা ছিল ঠিকই। কিন্তু প্রচারে নেতারা মন্দির প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছিলেন। ব্যতিক্রম আদিত্যনাথ। ঘোষণা করেছিলেন, মন্দির তৈরি হতে আর দেরি নেই। তাঁর যুক্তি ছিল, রাম মন্দির নিয়ে আইনি জটিলতা চলছে। রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে সরকার মন্দিরের পক্ষে অবস্থান নেবে।

Yogi Adityanath Ayodhya
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy