Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Ghaziabad Murder

খুন করে দেহ ৪ টুকরো! হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ‘তুই’, ‘আপনি’র ফারাকই ধরাল ‘খুনি’ বাড়িওয়ালাকে

ব্যবসা করবেন বলে ভাড়াটে অঙ্কিতের কাছ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন উমেশ। কিন্তু ব্যবসা চলেনি। ফলে টাকা ফেরানোর সামর্থ্য ছিল না। তাই অঙ্কিতকে দুনিয়া থেকে সরানোর পরিকল্পনা কষেন।

ধারের ৪০ লক্ষ টাকা ফেরত না দেওয়ার পরিকল্পনা বাড়িওয়ালার।

ধারের ৪০ লক্ষ টাকা ফেরত না দেওয়ার পরিকল্পনা বাড়িওয়ালার। — প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
গাজ়িয়াবাদ শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১০:৪৮
Share: Save:

রাজধানীর শ্রদ্ধা ওয়ালকরকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি অনতিদূরের গাজ়িয়াবাদে। ধার নেওয়া টাকা ফেরত না দেওয়ার ছকে ভাড়াটে গবেষককে মেরে চার টুকরো করে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে। গবেষকের বন্ধুদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে গবেষক সেজে বার্তালাপ চালাতে গিয়েই ধরা পড়ল বাড়িওয়ালার কীর্তি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গাজ়িয়াবাদের মোদীনগরে।

নিজের ভাড়াটে পিএইচডি গবেষক অঙ্কিতের কাছ থেকে ব্যবসা করবেন বলে ৪০ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন বাড়িওয়ালা উমেশ শর্মা। কিন্তু ব্যবসা চলেনি। ফলে টাকা ফেরত যাতে না দিতে হয় তার ছক কষেন উমেশ। ঠিক করেন দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে হবে অঙ্কিতকে। পুলিশ জানিয়েছে, গত ৬ অক্টোবর গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে উমেশ মারেন অঙ্কিতকে। তার পর গাছ কাটার করাত দিয়ে চার খণ্ড করেন দেহ। সেই টুকরো ছড়িয়ে দেন গাজ়িয়াবাদ ও মুজফফরনগরের গঙ্গা খালে এবং দসনার কাছে ইস্টার্ন পেরিফেরাল এক্সপ্রেসওয়ের ধারের জঙ্গলে।

উমেশ পেশায় একটি বেসরকারি হাসপাতালের কমপাউন্ডার। অঙ্কিতকে খুন করার পর কারও যাতে সন্দেহ না হয়, সে জন্য তাঁর ফোন থেকে নিজেই সবাইকে বার্তা পাঠান উমেশ। এ দিকে বেশ কিছু দিন ধরে অঙ্কিতের খোঁজ না পেয়ে এবং যোগাযোগ করতে না পেরে নিখোঁজ বন্ধুর খোঁজ দেওয়ার জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলেন বন্ধুরা। তাতে অঙ্কিতকেও জোড়া হয়। কিছু দিন পর সেই গ্রুপে বার্তা পাঠানো শুরু করেন অঙ্কিতরূপী উমেশ। কিন্তু বন্ধুদের সন্দেহ হয় অঙ্কিতের পাঠানো বার্তায়। বন্ধুরা পুলিশকে জানান, অঙ্কিত কখনওই কাউকে ‘তু’ (বাংলায় তুই) বলে সম্বোধন করতেন না। সর্বদা ‘আপ’ (বাংলায় আপনি) বলতেন। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে কিছু দিন উধাও থাকার পর আচমকা অঙ্কিত যখন বার্তা পাঠানো শুরু করেন, তখন তিনি সবাইকেই ‘তু’ বলে সম্বোধন করছিলেন।

পুলিশ খোঁজখবর করে পৌঁছয় অঙ্কিতের বাড়িওয়ালা উমেশের কাছে। উমেশ নিজেও দাবি করেন, তাঁকেও বেশ কিছু হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পাঠিয়েছেন অঙ্কিত। কিন্তু ফোন করলে ফোন ধরছেন না তিনি। পুলিশ আরও কিছু প্রশ্ন করে উমেশকে। তখনই ভেঙে পড়েন তিনি। কবুল করেন, ৬ অক্টোবর গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে তিনিই মেরেছেন অঙ্কিতকে। কারণ ধার নেওয়া ৪০ লক্ষ টাকা ফেরানোর সামর্থ্য তাঁর ছিল না। পুলিশ উমেশকে গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে, খুন করার পর গাছ কাটার করাত দিয়ে অঙ্কিতকে চার টুকরো করেন তিনি। তিনটি টুকরো ভাসিয়ে দেন গঙ্গা খালে। একটি টুকরো ফেলেন দসনার জঙ্গলে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Ghaziabad Murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE