এক মাস পরেই তাঁর বিয়ে ছিল। কিন্তু তার আগেই আত্মহত্যা করলেন গুজরাতের সুরতের ফিজ়িয়োথেরাপিস্ট রাধিকা। আত্মহত্যার আগে হবু স্বামীকে মেসেজ করেছিলেন তিনি। তাতে লেখেন, ‘‘ছোট ছোট বিষয় বাবা-মাকে জানিও না।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, সেই হোয়াট্সঅ্যাপ চ্যাট উদ্ধার করা হয়েছে রাধিকার মোবাইল থেকে। কিন্তু কী বিষয় হবু স্বামীকে না-জানানোর অনুরোধ করেছিলেন, সেই বিষয়টি স্পষ্ট নয় বলে তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন। তবে তাঁদের দু’জনের মধ্যে কোনও বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য চলছিল কি না, সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
রাধিকা পেশায় ফিজ়িয়োথেরাপিস্ট ছিলেন। গত ২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় একটি কাফেতে যান। পরিবার সূত্রে খবর, দশতলায় সেই কাফেতে প্রায় দিনই যেতেন রাধিকা। শুক্রবারেও গিয়েছিলেন। কাফের এক কর্মী পুলিশকে জানিয়েছেন, অন্য দিনের মতো কাফেতে এসে বসেন তিনি। চায়ের অর্ডার দেন। তার পর ফোনে কথা বলেন। তাঁর মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতা লক্ষ করা যায়নি। ওই কর্মীর দাবি, চা ছাড়াও একটি জলের বোতল এবং গ্লাস দিতে বলেছিলেন রাধিকা। সেই অর্ডার পাওয়ার পর তিনি চা আনতে চলে যান। ওই কর্মীর আরও দাবি, চা দিতে এসে দেখেন রাধিকা রেলিংয়ের উপর উঠে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তিনি তখন চিৎকার করে নেমে আসতে বলেছিলেন। সেই মুহূর্তেই ঝাঁপ দেন রাধিকা।
আরও পড়ুন:
তত ক্ষণে কাফেতে হুলস্থুল পড়ে গিয়েছিল। কর্মীরা নীচে গিয়ে দেখেন রক্তে ভেসে যাচ্ছে। রাধিকা পড়ে রয়েছেন। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, রাধিকা জামনগরের বাসিন্দা। কিন্তু তাঁর পরিবার বর্তমানে সুরতে থাকে। রাধিকার বাবা হিরের কারখানায় কাজ করেন। তরুণীর নিজের ক্লিনিক ছিল। সব কিছুই ঠিকঠাক চলছিল। রাধিকা তাঁর বিয়ে নিয়েও বেশ খুশি ছিলেন বলে পরিবারের দাবি। কিন্তু বিয়ের এক মাস আগে আচমকা আত্মহত্যা কেন করতে গেলেন, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।