Advertisement
০২ মে ২০২৪
Caste

‘জাত গণনা অসাংবিধানিক’! নীতীশ-তেজস্বীর সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ সুপ্রিম কোর্টে

বরুণকুমার সিংহ নামে এক আইনজীবী শীর্ষ আদালতে দায়ের করা জনস্বার্থ মামলায় অভিযোগ করেছেন, জাত গণনার করা সিদ্ধান্ত ‘বৈষম্যমূলক ও অসাংবিধানিক’।

জাত গণনার বিরুদ্ধে মামলা সুপ্রিম কোর্টে।

জাত গণনার বিরুদ্ধে মামলা সুপ্রিম কোর্টে। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৩ ২২:০৯
Share: Save:

আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষদের জন্য সরকারি চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণের জন্য গত নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট সিলমোহর দেওয়ার পরেই দেশ জুড়ে জাত ভিত্তিক জনগণনার দাবি তুলেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তার আগেই বিহারে সে কাজ শুরুও করেছে তাঁর নেতৃত্বাধীন মহাগঠবন্ধন সরকার। এ বার বিহার সরকারের সেই পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল সুপ্রিম কোর্টে।

বরুণকুমার সিংহ নামে আবেদনকারী আইনজীবী শীর্ষ আদালতে দায়ের করা জনস্বার্থ মামলায় অভিযোগ করেছেন, জাত গণনার করা সিদ্ধান্ত ‘বৈষম্যমূলক ও অসাংবিধানিক’। বিহার সরকারের এই পদক্ষেপ সংবিধানের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী বলেও দাবি করেছেন তিনি। গত ৬ জুন নীতীশ সরকার জাত গণনার বিষয়ে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে তা সংবিধানের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদের (সমতা ও সাম্যের অধিকার) পরিপন্থী বলে অভিযোগ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন অখিলেশ কুমার নামে নালন্দার এক বাসিন্দাও।

লোকসভা ভোটের আগে অনগ্রসর (ওবিসি) ভোটের লক্ষ্যে জেডি(ইউ) সভাপতি নীতীশ এবং তাঁর সহযোগী আরজেডির নেতা তথা উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব জাতভিত্তিক গণনার দাবিতে আরও সুর চড়াবেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন। তাঁদের মতে জাতগণনা হলেই ওবিসি-দের আসল সংখ্যা প্রকাশিত হয়ে যাবে। ওবিসিদের জন্য এখন ২৭ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকে। কিন্তু ওবিসিদের আসল সংখ্যা জনসংখ্যার ৫০ শতাংশের কাছাকাছি। স্বাভাবিক ভাবেই তখন ওবিসিদের জন্য আরও বেশি সংরক্ষণের দাবি উঠবে। এই পরিস্থিতিতে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও চাকরিতে অসংরক্ষিত (জেনারেল) আসন আরও কমার সম্ভাবনা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE